বৈশ্বিক নীতি নির্ধারণী সংস্থা ‘অ্যাপলিটিক্যাল’ ডিজিটাল সরকারে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে বুধবার (৮ আগস্ট)। এই তালিকায় বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জায়গা করে নিয়েছেন। তালিকায় অন্যদের মধ্যে আছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রতিষ্ঠাতা টিম বারনার্স লি, ভারতের আইটি মন্ত্রী রব শংকর প্রসাদ ও তাইওয়ানের ডিজিটাল বিষয়ক মন্ত্রী অড্রি ট্যাং।
অ্যাপটিক্যাল ’ওয়ার্ল্ডস ১০০ মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল পিপল ইন ডিজিটাল গভর্নমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। অ্যাপলিটিক্যাল জানিয়েছে, এসব ব্যক্তি স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠায় অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছেন। নির্বাচিত ব্যক্তিরা ডিজিটাল প্রযুক্তির সুফল সাধারণ মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।
১০০ জনের তালিকায় যুক্ত হয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অভিযাত্রায় ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যে অনবদ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে এটি তার বৈশ্বিক স্বীকৃতি।
অ্যাপলিটিক্যাল যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংস্থা। এর কাজের পরিধি বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশে বিস্তৃত। এটি একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন সংস্থা যারা নীতি নির্ধারণের পাশাপাশি জন সেবায় নিয়োজিত নেতৃবৃন্দের বিশ্বব্যাপী পারস্পারিক নেটওয়ার্ক স্থাপনের কাজে নিয়োজিত।
প্রথমবারের মতো প্রকাশিত শীর্ষ ১০০ জনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এই তালিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল গভর্নমেন্ট বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মনোনয়ন নেওয়া হয় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-দি এলান টিউরিং ইনস্টিটিউট, ওইসিডি, জাতিসংঘ, ফিউচার সিটিস ক্যাটাপুল্ট, ইউএসএইড ওি ওপেন গভর্নমেন্ট পার্টনারশিপ।
অ্যাপলিটিক্যালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবিন স্কট বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যেসব ব্যক্তি ডিজিটাল গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন, আমরা তাদের খুঁজে বের করেছি। এটা অত্যন্ত আনন্দের। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন।’
এর আগে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জুনাইদ আহমেদ পলককে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার-২০১৬’ নির্বাচিত করে। সংস্থাটি প্রতি বছর ৪০ বছরের কম বয়সী বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুণ নেতাদের নাম প্রকাশ করে থাকে।