অল্পবয়সী বাচ্চাদের মা-বাবার কাছে ভিডিও গেম এক আতঙ্কের নাম। নাওয়া-খাওয়া ভুলে গেমিংয়ের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকলে সন্তানের লেখাপড়া লাটে উঠবে,এমনটাই ধারণা তাঁদের। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণা তাঁদের এই আশঙ্কাকে সম্পূর্ণ ভুল বলে প্রমাণ করেছে। মার্কিন টিভি চ্যানেল এনবিসি নিউজের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব কমিউনিকেশন’-এ প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, যারা ভিডিও গেমস খেলে না,তাদের থেকে প্রচুর ভিডিও গেমস খেলে এমন ছেলেমেয়েরা বেশি মেধাবী হয়। বিজ্ঞান বা গণিতের মতো বিষয়গুলোতে তারা অনেক বেশি ভাল ফল করেছে। গবেষক দলের সদস্য মেলবোর্ন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক আলবার্তো পোসোর মতে, ‘খুব সম্ভবত গণিত বা বিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁক আছে,এমন বাচ্চারাই ভিডিও গেমসের প্রতি বেশি আসক্ত হয়। এসব গেমের লেভেল পার করার জন্য সমাধান করতে হয় জটিল সব ধাঁধার। তাই মস্তিষ্কের খোরাক জোগাতে তারা ঝুঁকে পড়ে গেমিংয়ের দিকে।’ গবেষণায় মোট ১২ হাজার অস্ট্রেলীয় শিশু-কিশোর অংশ নেয়। তাদের সবারই বয়স ছিল ১৫ বছরের নিচে। যারা ভিডিও গেমস বেশি খেলে, তারা গড়পড়তা অন্য শিশু-কিশোরদের থেকে প্রায় ১৫ পয়েন্ট বেশি পেয়েছে। অন্যদিকে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা বেশি সময় ব্যয় করে,তারা গড় ফলাফলের থেকেও ৪ পয়েন্ট কম পেয়েছে। গবেষণার ফল থেকে বিজ্ঞানীদের অভিমত হলো,দৈনন্দিন জীবনে অনেক সময়ই জটিল সব সিদ্ধান্ত নিতে হয়,হিসাব-নিকাশ করে কাজ করতে হয়। ভিডিও গেম খেলার কারণে অনেক শিশু-কিশোরই এ জাতীয় চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করে নিতে পারে।