ইতিহাসের নানা পড়তে পড়তে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখতে পাব যে, মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান নানা দিকে ছড়িয়ে আছে।অনেক ইউরোপীয় ইতিহাসবিদ এটি ধারণা করে থাকেন যে, জ্ঞান-বিজ্ঞানের সূচনালগ্নে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান ছিল অনস্বীকার্য।তাদের করা কাজ, গবেষণা নিয়ে ইউরোপীয় বিজ্ঞানীরা হয়েছেন সমৃদ্ধ। এদের মধ্যে একজন হলেন মুসলিম জীববিজ্ঞানী আজিজ স্যাংকার।তিনি নোবেল বিজয়ী প্রথম মুসলিম জীববিজ্ঞানী। ২০১৫ সালে টমাস লিন্ডাল ও পল এল মডরিচের সাথে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।আসুন আজ এই বিজ্ঞানী সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু জেনে নেয়া যাকঃ

ছবি সূত্রঃ গুগল
জন্মঃ আজিজ ১৯৪৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তুরস্কের সাবুরে জন্মগ্রহণ করেন।
সংক্ষেপে আজিজ স্যাংকারের পারিবারিক জীবনঃ
আজিজ তুরস্কের সাবুরে একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মায়ের কোন শিক্ষা ছিল না কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা মনে করতেন যে সন্তানের জন্য শিক্ষা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। স্যাংকার ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন এবং পরবর্তীতে ডালাসের ইউনিভার্সিটি ওব টেক্সাস থেকে ১৯৭৭ সালে তার পি.এইচ.ডি ডিগ্রী লাভ করেন।বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনায় ঔষধবিদ্যার (মেডিসিন) এর ওপর শিক্ষকতা করছেন।আজিজ স্যাংকারের স্ত্রী গোয়েন স্যাংকারও একজন অধ্যাপক।তিনি জীবরসায়ন ও জীবপদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট সম্পন্ন করেছেন।

ছবি সূত্রঃ গুগল
আজিজের কর্মঃ
একটি অর্গানিজম কিংবা জীবদশার জিনের যে সকল বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা বহন করে লিভিং সেল বা জীবিত কোষের ডিএনএ মলিকিউল। এই জীবদশা যতই উন্নত হোক বা বেঁচে থাকুক, এটির ডিএনএ কখনো পরিবর্তিত হতে পারে না।যেহেতু ডিএনএ মলিকিউল সম্পূর্ণভাবে স্থির নয়, তাই তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে পারে বা ক্ষয়ে যেতে পারে।
১৯৮৩ সালে ব্যাকটেরিয়াকে পরীক্ষা করবার মাধ্যমে আজিজ এটি দেখিয়েছেন যে কিভাবে অতিবেগুনি রশ্মির সাহায্যে প্রোটিন অণু এনজাইম বা উৎসেচক কিংবা ক্ষয়ে যাওয়া ডিএনএকে পুনরায় এর গঠনে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।
তার এই কাজের মাধ্যমে তিনি ২০১৫ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। এই আবিষ্কারে জানা যায় কেমন করে লিভিং সেল কাজ করে,ক্যান্সারের প্রকৃত কারণ আসলে কি এবং মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া কি করে রোধ করা যায়।
সূত্রঃ নোবেলপ্রাইজ ডট অর্গ