আসসালামুয়ালাইকুম। আমরা সবাই কম বেশি একটা বেপার জানি যে হার্ড-ডিস্ক ড্রাইবে ডাটা ট্রান্সফার হয় এর মধ্যে থাকা গোল চাকতির ঘূর্ণনের মাধ্যমে। তো আমরা যারা ডেস্কটপ পিসি ইউজ করি তারা পিসি ক্রয় করার সময় খেয়াল করে থাকবেন যে হার্ডড্রাইভের প্যাকেটের গায়ে ৭২০০ RPM লিখা ছিল আর ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ৫৪০০ আর পি এম। এক্ষেত্রে RPM এর পূর্ণ অর্থ দাঁড়ায় রেভলুশান পার মিনিট(Revolutions Per Minute )। এই আর পি এম বুঝায় যে হার্ড ডিস্কের ইন্টারনাল প্লেটটি/চাকতিটি/ডিসটি কত দ্রুত(ঘূর্নন গতি) ঘুরবে। যদিও দ্রুততাই পারফরমেন্সের জন্য ভাল, তবে ৫৪০০ আর পি এম ড্রাইভটি সিলেকশানের ও বেশ কিছু পজিটিভ কারন রয়েছে।
তো চলুন জেনে নিই ৭২০০ এবং ৫৪০০ আর পি এম এর মধ্যবর্তী সুবিধা-অসুবিধা সমূহ
1. ড্রাইভারের শক্তিঃ
কম ঘুর্ণন গতির ড্রাইভ ল্যাপটপে ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব জনপ্রিয় কারন ‘যত কাজ তত শক্তি ব্যায়’ হিসেবে দ্রুত ঘুর্ণনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন (খরচ) হবে; আর এক্ষেত্রে ল্যাপটপ যেহেতু ব্যাটারীর মাধ্যমে চলে, এবং যখন এর চার্জার আন-প্লাগড থাকবে তখন ব্যাটারীর চার্জ শেষ হবার পুর্বে দীর্ঘক্ষন ব্যবহার করা যাবে। তাই এক্ষেত্রে আরপিএম ব্যাস্তানুপাতিক ব্যাবহার কাল, মানে যত কম আর পি এম তত বেশি সময় ধরে ব্যবহার কাল। 😀
2. অযাচিত শব্দ/নয়েজঃ
অনেক সময় ধরে পিসি চলার পর হার্ড-ডিস্কের পাশে কান রাখলে খেয়াল করবেন ৭৮০০ আরপিএমের ড্রাইভ গুলো কম শব্দ করলেও এর চেয়ে নিখুতভাবে ও স্বল্প শব্দে ঘুরে থাকে ৫৪০০ আরপিএম এর ড্রাইভগুলো।
3. কম্পন/ভাইব্রেশানঃ
দ্রুত গতির ড্রাইভার গুলো অনেক বেশি কম্পন সৃষ্টি করে থাকে। এমনকি এটা সিষ্টেমের পারফরমেন্সের ক্ষেত্রেও নেগেটিভ প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে বর্তমানে বহুল্ভাবে প্রচলিত মেকানিকেল সাটা(SATA) ড্রাইভের ক্ষেত্রে। 🙁
4. তাপক্রিয়া / হিটঃ
প্রচুর বৈদ্যুতিক শক্তি প্রবাহের ফলে অনেক তাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে ৭২০০ আরপিএম সিষ্টেমকে অপেক্ষাকৃত তাড়াতাড়ি উষ্ণ করে তুলে। অবশ্য এটা দূর করার একটা উপায়ও আছে, তা হল ঠিক ভাবে ফ্যান সেটা করে বা সঠিকভাবে বায়ু চলাচল ব্যবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে। 😀
5. ব্যায় / কষ্টঃ
যেহেতু ৭২০০ আরপিএম কর্মক্ষম বেশি এবং এর ইলেক্ট্রিক সার্কিটটি অপেক্ষাকৃত জটিল তাই যথার্থ ভাবে ৫৪০০ আরপিএম ড্রাইভের চেয়ে এর দাম কিছুটা বেশি হওয়াটাই স্বভাবিক, এবং দামটা একটু বেশি বটেই। তবে পার্সোনাল(সিঙ্গেল পার্টস) ক্রেতাদের ক্ষেত্রে এটি খুব একটা বেশি না হলেও ব্যবসায়িদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ডিফার করে।
source: www.facebook.com/ComputronicsBD
IF u guys want more this type of Hardwarick post, inform me, i’ll of course carry on 😀
লাকি ভাই অনেক কিছু জানতে পারলাম…….
জানাতে পেরে ভাল লাগছে
ভালো পোস্ট……… জানা ছিল। আবার পড়ে পুরতন জানা টাকে ঝালাই করে নিলাম… হা হা হা ……
যাক আমি তাহলে লেখার মাধ্যমে ঝালাই করাতেও শিখে গেছি 😛
হা হা হা হা হা ……। মজা পাইলাম রিপ্লাই পড়ে ……
😀
হা হা। হার্ডওয়্যার পন্ডিতের পোস্ট 🙂 । হার্ডওয়্যার বিষয়ক লেখালেখি ভালো বুঝিনা, তাই কাজের মন্তব্য না করে একখান আকামের মন্তব্য করলাম মেসবা ভাই। 🙂
বুইলছে কি!!
না বুইঝলে পিচ্ছি কালের মত মুখস্ত কুইরতে হবিনানে??
হাহ হাহ হাহ 😛
বিজ্ঞান প্রজুক্তি আমার মতে ভাল স্থান দখল করতে যাচ্ছে
জায়গাটাও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত,
😀
hardware আছে মাত্র কয়েকটা জিনিস, মাদার বোড, রেম, পচেচর,পাওয়ার, hardware এর সব জিনিস কে বেশি দিন টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে মূল কাজ করে পাওয়ার, একটা পাওয়ার সাপলাইয়ের উপর বেশি দিন সেবা দিতে পারে hardware, আর যা আছে software,
সোজস কতাহ্য হার্ডওয়ারের সংজ্ঞা হল
যা কিছু ধরা যায় ছোয়া যায় তাকেই হার্ডওয়ার বলতে পারেন,
আর হা আপনার মতে কি হার্ড-ডিস্ক ডারাইভ কি সফটওয়্যার ??? 😮
বেশ তথ্যবহুল… জানতে পারলাম অনেক কিছু…