সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতানোর ঘটনা ঘটেছে।কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভার হ্যাকিংমুক্ত রাখতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সার্ভারগুলোকে হ্যাকারদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে। হ্যাকিং প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রথম থেকেই সচেতন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সার্ভার হ্যাক থেকে বাঁচাতে প্রথমত ভালো হোস্টিং প্রোভাইরের কাছ থেকে হোস্টিং কিনতে হবে। ডেডিকেটেট আইপি হলে ভালো হয়। যেমন একটা হোস্টিংয়ের জন্য একটা আইপি।
হ্যাকিং প্রতিরোধে কোডিং ইরোর আছে কম্পিউটারে এমন থিম ব্যবহার করা যাবে না। সার্ভার তত্ত্বাবধানের জন্য দক্ষ ও ডেডিকেটেট লোক থাকতে হবে। নিয়মিত পেনেট্রেশন টেস্টিং (পেনটেস্ট) করতে হবে।
যেসব পিসি থেকে সার্ভার মেইন্টেইন করা হয় সেগুলো নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ছাড়া সেখানে অন্য কোনো ফাইল না রাখাই উত্তম। সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত সব পিসিতে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিৎ।
সর্বোপরি কোনো সাইবার সিকিউরিটি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়ে শতভাগ হ্যাকিংমুক্ত রাখা সম্ভব বলে জানান এই সাইবার বিশেষজ্ঞ।
হ্যাকিং ও সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সিআইডির সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ রায়হান উদ্দিন খান জাগো নিউজকে বলেন, অনেক সময় আমাদের ছোট একটু অসতেনতার কারণে অপরাধীরা সাইবার ক্রাইম করার সুযোগ পাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার কাজ করবে পাশাপাশি নিজেদের সচেতন হতে হবে। ফেসবুক, ইন্টারনেট, জিমেইল ব্যবহারের আগে এগুলোর সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্টের বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে।