টেকনোলজি ব্যাংক পদ্ধতি এটা কোন স্বীকৃত পদ্ধতি নয়। এটা একান্তই আমার নিজের মনের চিন্তাপ্রসুত ধারণা মাত্র। এটা পরিক্ষিত কোন পদ্ধতিও নয়, তবে আমার একান্ত ধারণা যে, সম্মিলিত প্রষ্টোর মাধ্যমে একেবারে শূণ্য থেকে শুরু করে কিভাবে একটা সমৃদ্ধ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য ভান্ডার প্রতিষ্ঠা করা যায় তার একটা ভাল রূপরেখা হতে পারে টেকনোলজি ব্যাংক পদ্ধতি। এই ধারণাটি যদি সবার কাছে গ্রহণ যোগ্য হয় তাহলে আপনাদের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠা পেতে পারে, যদি ধারণাটির সংশোধন পরিমার্জনের প্রয়োজন হয় তাহলে আপনাদের সক্রিয় প্রচেষ্টার মাধ্যমেই হবে।
…………………………………………………………………….
টেকনোলজি ব্যাংক পদ্ধতির কর্মপদ্ধতি লক্ষ এবং উদ্দেশ্য
টেকনোলজি ব্যাংক পদ্ধতিতে প্রত্যেক সদস্য ব্যক্তিগত এবং উপযুক্ত উৎস থেকে সংগৃহীত বই, গবেষণা পত্র, শিক্ষা উপকরণ, টিউটোরিয়াল, প্রযুক্তি তথ্য ইত্যাদি একটি টেকনোলজি ব্যাংকে জমা রাখবে।
- টেকনোলজি ব্যাংকটি প্রাথমিক পর্যায়ে সদস্যদের কম্পিউটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দান করতে হবে।
- প্রত্যেক সদস্য টেকনোলজি ব্যাংক হতে প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপকরণ সমূহ সংগ্রহ করে অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদের মেধা এবং সৃজনশীলতাকে সমৃদ্ধ করতে পারবে।
- যে কোন প্রয়োজনে সকলে একে অপরকে সাহায্য করবে।
- প্রত্যেক সদস্য বই, গবেষণা পত্র, শিক্ষা উপকরণ, টিউটোরিয়াল, প্রযুক্তি তথ্য ইত্যাদি তথ্য ও উপকরণ সমূহ সংগ্রহ এবং ক্রয় করার ব্যপারে নিজস্য পরামর্শ প্রদান করবেন।এবং সকলের মতামত বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
- টেকনোলজি ব্যাংকের সকল খরচ সদস্যদের মধ্যে সমানভাবে বন্টিত হবে।
- প্রতি মাসে সদস্যদের মধ্যে এক জনকে টেকনোলজি ব্যাংকের পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করা হবে। পর্যায়ক্রমে সকল সদস্যকে এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
- বিশেষ কোন বিষয়ের উপর দ্রুত দক্ষতা অর্জনের জন্য সদস্যগণ বিষয়টিকে কতগুলো অংশে বিভক্ত করে বন্টন করে, নিজে শেখ অন্যকে শিখতে সাহায্য কর নীতিতে পরস্পরের সাথে বিনিময় করবে।
- প্রয়োজনে কোন একটি বিশেষ বিষয়ের উপর বাস্তব, ব্যবহারিক এবং প্রফেশনাল জ্ঞান অর্জন করার জন্য সেই বিষয়ের উপর পারদর্শী এক বা একাধিক জন বিশেষজ্ঞকে আমন্ত্রণ করে স্বল্প মেয়াদী বা কিছুটা দীর্ঘ মেয়াদী ওয়ার্কশফের আয়োজন করা যেতে পারে।
- প্রয়োজনে সাংগাঠনিকভাবে কোন বিশেষ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্যও ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
- টেকনোলজি ব্যাংক পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করার জন্য সদস্যদের মাধ্যমে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
- দূরবর্তী স্থানে স্কুল, কলেজ, গ্রাম্য ক্লাব বা লাইব্রেরী ভিত্তিক টেকনোলজি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করতে হবে।
- টেকনোলজি ব্যাংক পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করার জন্য প্রচার মিডিয়াতে প্রচারণার ব্যবস্থা করতে হবে।
- সরকারী অনুমোদন লাভের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
- টেকনোলজি ব্যাংকের সকল প্রকার কর্মকান্ড একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত করতে হবে।
টেকনোলজি ব্যাংক পদ্ধতির সুবিধা
এ পদ্ধতিতে স্বল্প পরিশ্রমে বৃহৎ আকৃতির তথ্যভান্ডার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
- এ পদ্ধতিতে সময় এবং অর্থের অপচয় রোধ করা যায়।
- প্রযুক্তি বিস্তারে দ্রুত ও কার্যকর পদ্ধতি।
- খরচ কম হওয়ায় দ্রুত জনসমর্থন লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।
- সর্বস্তরের মানুষের জন্য উপযোগী ।
- আন্তর্জাতিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হয়।
- একজন সদস্য সামান্য খরচ করেই অনেক মূল্যবান তথ্য ভান্ডার ব্যবহার করার সুযোগ পায়।
- গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
- ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ উপযোগী পদ্ধতি।
- সহজ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি।
- ফলস্বরূপ প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন উচ্চ শিক্ষিত এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরি সম্ভব হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে একটি কার্যকর পদ্ধতির রূপরেখা প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে আমার এই সীমিত প্রয়াস। এ পদ্ধতিকে কার্যকর এবং প্রতিষ্ঠিত এবং আরো প্রসারিত করার জন্য আপনাদের সক্রিয় অংশ গ্রহণ এবং মতামত একান্ত প্রয়োজন।
আরো দেখতে পারেন
টেকনোলজি ব্যাংক পদ্ধতি হতে পারে প্রযুক্তি জ্ঞান বিস্তারের অন্যতম মাধ্যম
………………………………………………………………………………..
এখানেই শেষ করছি। সবার জন্য শুভকামনা রইল ।
অসাধারন আপনার এই পোস্টটিও !!!
মতামত আগের পোস্টটির মতই এক, টেকনোলজি ব্যাংক পদ্ধতি আমাদের দেশের ছাএ / ছাএী দের মেধা বিকাশে অনেক গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে বিষয়টি উপস্থাপনের জন্য।
———-নিজের অজান্তে।
ধন্যবাদ “নিজের অজান্তে” ভাই । আপনার আসল নামটা আমাদের সাথে শেয়ার করলে সবাই খুশি হবে। যদিও আপনার প্রতীকী নামটাও অনেক সুন্দর।
খুব ভালো একটা ব্যাপার শেয়ার করলেন ভাই, আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত… 🙂
পোষ্ট পড়ার পরে আসলে অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু সব বিষয় বলে বুঝানো যায় না।টেকনোলজি ব্যাংক এমন একটি পদ্ধতি হতে পারে যেখানে আমরা সবাই আমাদের সল্প জ্ঞানকে সবার মাঝে ছড়ায় দিয়ে একটি বিশাল তথ্য ভান্ডার গড়ে তুলতে পারি।
এত করে নবীনরা শুরু থেকেই সত্য বো সঠিক বিষয় জানবে। ফলে তাদের মেধার বিকাশ হবে অতি দ্রূত। আর তার ফলে আমাদের দেশের তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ ঘটবে অতি দ্রুত।
আপনার মহান লক্ষ বাস্তবায়নে সবসময় পাশে পাবেন আমাকে। 🙂
সুন্দর উপস্থপনার জন্য ধন্যযোগ। 🙂
সুমন ভাই এবং শাওন ভাইকে ধন্যবাদ । আমরা আমাদের বন্ধু মহলের সাথে কিছুটা আলোচনা করে এখনই কাজে লেগে যেতে পারি। এবং এই ধারণাটিকে বাস্তবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়াটারও বেশ প্রয়োজন ।
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম, বরাবরের মতই জটিল লিখেছেন।
ধন্যবাদ রাসেল ভাই।
আপনার ধারনটির আর প্রচার প্রসার ঘটানর চেষ্টা করুন