আমি অনেকটা নিয়মিত ভাবেই বাংলা টেকি লিখে যাচ্ছিলাম। বেশ কয়েকজন বলে বসেছিল যে আমার মতো নিয়মিত বাংলা ব্লগার দেখেন নি। যাই হোক, ইদানিং লেখালেখিটা অনেক কমে গেছে। আগেই একবার বলেছিলাম যে, ব্লগারদের সবচেয়ে কষ্টের কাজ হলো নিয়মিত হওয়া। চাইলেই নিয়মিত লেখালেখি করা সম্ভব নয়। আর লেখালেখির এই গ্যাপের মধ্যে পাঠক হারানো, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া সহ স্থবিরতা এসে পরতে পারে নিজের ব্লগে। তাই যে সময়টাতে লেখা লেখি করা সম্ভব/ইচ্ছা না হয় সেই সময়টাতে নিজেকে একটু ভিন্ন পথে প্রবাহিত করতে বলবো।
আমি মূলত এই গ্যাপের সময়টাতে যা করি বা করার চেষ্টা করি তা হলোঃ
১. আগের কোন বিষয় নতুন করে প্র্যাকটিস করা
অনেক সময় আমরা কাজের সুবিধাতে অনেক কিছুই করে থাকতে পারি। প্রয়োজন না হওয়াতে অথবা বেশি দিন সেই বিষয়টিতে আগ্রহ না থাকার দরুন পরিচর্চার অভাবে বেশিভাগ সময়েই সেই সব জিনিসগুলো ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে। তাই সেই বেপারে নতুন করে চর্চা শুরু করলে বেশ ভাল ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
আমি নিজে এক সময় গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর বেশ কাজ করেছিলাম, তখন ইন্টারনেট দুনিয়ার সাথে অত ভাল ভাবে পরিচয় ছিল না তাই অনেক ক্রিয়েটিভ কাজ করা সম্ভব হয় নি। সেই সময় গ্রাফিক্সের উপর এত বাজে বাজে প্রজেক্ট বানাতাম যা সম্পর্কে নতুন করে ভেবে আগের কোন প্রজেক্টের মতো করে এখন কাজ শুরু করলাম। এভাবে বেশ কিছু প্রজেক্টে হাত দিয়ে নিজের মতো করে কাজ শুরু করলাম।
নিজের ভবিষ্যত লেখালেখির জন্য স্ক্রিনসটগুলো জমা করে রেখে দেই। কখনো সেই সব প্রোজেক্ট নিয়ে লেখা হয়..কখনো হয় না।
২. নতুন কিছু শিখা
তথ্য প্রযুক্তিতে কাজের ক্ষেত্রে বা কাজের বাইরে অনেক কিছুই শিখার দরকার বা আগ্রহ জন্মায় আর সেই সব বিষয়ে একটু অধ্যয়ন করার বেপারটাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। নেটওয়ার্কিং এর উপর এডভান্স কিছু শেখার আগ্রহ ছিল অনেক দিনের।
একবার লেখালেখির দুই মাসের গ্যাপের সময় ওয়্যারলেস নেটওয়াকিং এর উপরে বেশ কিছু বই সংগ্রহ করে পড়া শুরু করি। এবং ভিএমওয়্যার সহ বেশ কিছু সফ্টওয়্যারে হাত দেই। পরবতির্তে সেই সব প্রোজেক্টের উপরই ব্লগ লিখেছিলাম।
৩. বিনোদন ও সামাজিক পরিচয়
অধিকাংশ টেকি লোক-ই তার অনলাইনের পরিচয়ের তুলনায় কাছের লোকের কাছে পরিচিত কম। নিজের আলোচনাগুলো অনেকসময় কাছের অজ্ঞলোকের সাথে আলোচনা করা যায় না। কিন্তু টেকি বিষয়ে অজ্ঞ লোকের সাথে টেকি বিষয়ে আলোচনা করেও নতুন কিছু আইডিয়া নেওয়া যায়। বাস্তব জীবনের প্রয়োজনের অপ্রয়োজনের কথা জানা যায় তাদের থেকে।
প্রথম দিকের সময়গুলোতে আমি যতটা নিজে নিজে কাজ করে মজা পাওয়া যায়, প্রোজেক্টিতে সফল হলে ততটাই মজা পাওয়া যায় সবাইকে জানালে।
ভ্রমণ, ফটোগ্রাফী, গান বাজনা বা অন্যান্য কোন সখের কাজের মধ্যে টেকি ভাবনা এনে দিতে পারে নতুন কোন সফল উদ্যোগের। পেয়ে যেতে পারেন যাকে নিয়ে নতুন প্রোজেক্ট শুরু করতে চাইছেন এমন কোন ব্যক্তিকে।
কাজের সময়ের মাঝে একটু সময় নিজেকে প্রকাশের কাজের আনন্দ বেড়ে যেতে পারে।