নিজের স্বপ্ন সফল করার জন্য অনেকের সাহায্য কামনা করেন।কথায় আছে না, যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়, হবেই হবে দেখা, দেখা হবে বিজয়ের।
হ্যাঁ ঠিক তাই হয়েছে, নিজের ইচ্ছেতে অনড় ছিল বরিশালের তরুণ উদ্ভাবক জিসান। আর তাই তো সে নিজ লক্ষ্যে পৌছার জন্য রিকশাও চালিয়েছেন। তারপর দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করেন নিজের প্রযুক্তিতে তিনটি জ্বালানী সাশ্রয়ী গাড়ী।
তরুণ উদ্ভাবক জিসানের বানানো ওই তিনটি জ্বালানী সাশ্রয়ী গাড়ী হয়েছে দেশ সেরা।তিনি পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। শুধু জাতীয় পুরস্কারই না। সে তার এই প্রযুক্তির জন্য পেয়েছে আন্তর্জাতিক পুরুস্কারও।
সম্প্রতি জিসান তার সফলতার কথা জানিয়ে এবং বিজ্ঞান গবেষণায় সহায়তা না থাকার আক্ষেপ প্রকাশ করে লিখেছেন জেলা প্রশাসকের বরাবর।
‘২০১১ইং সালে জ্বালানী সাশ্রয়ী গাড়ী তৈরীতে মনোনিবেশ করেন এবংতিনি সফল হন। গাড়ীটি এক লিটার পেট্রোল-এ ১২০ কিঃমিঃ পথ অতিক্রম করেন। এর পরে জাপানি সাহায্য সংস্থা জাইকা ২০১৩ইং সালে একটি প্রতিযোগিতার আযোজন করেন। এই প্রতিযোগিতার ‘বুয়েট’ ‘রুয়েট’ ‘আই.ইউ.টি’ ‘কুয়েট’ আমি বরিশাল টি.এস.সি থেকে অংশগ্রহণ করেন।
সে সময় ৪র্থ স্থান অধিকার করে তেমন ভাল করতে পারন নাই তাই ফিরে এসে প্রতিজ্ঞা করেন তাকে চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে। সে লক্ষে কাজ করেন। ছয় মাস এ গাড়ীর দুইটি নকশা তৈরী করেন এর পর শুরু করেন মূল কাজ। কিন্তু প্রধান সমস্যা ছিল টাকা, কারন তিনি নিতান্তই গরীব ঘরের সন্তান। এই পরিস্তিতে গাড়ী তৈরীর খরচ ছিল খুবই কঠিন কিন্ত তার লক্ষ একটাই ছিল তাকে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে।
এসে গেল সেই স্বপ্নের দিন ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠান শুরু হল তার দুটি গাড়ি দুটি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। এর একটি সব চাইতে কম জ্বালানি ব্যবহার করে পথ অতিক্রম করে আর অন্য টি সকল বিভাগে সেরা হওয়া।
২০১৩ইং এ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশগ্রহণ করে বরিশাল জেলায় প্রথম এবং জাতীয় পার্যায় ২য় স্থান অধিকার করেন।
মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় এর কাছে এই প্রকল্পটির জন্য সাহায্যের আবেদন করেন এখন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে সাধারন মানুষসহ দেশের উন্নয়ণ এবং ডিজিটাল দেশ গড়ায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।