মৌমাছির মধু আহরণ ব্যাহত হচ্ছে
২০০৭ সালে রসায়নিদ এইজিরো মিয়াকো একটি জেল আবিষ্কার করেন যেটি বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারত। এই জেলটি ছিল বেশ থকথকে, আঠালো। তিনি আশা করেছিলেন যে এই জেলটি ব্যাটারী কিংবা জেনারেটরে ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু তিনি যেমনটি আশা করেছিলেন, জেলটি সেভাবে কাজ করতে পারে নি। ব্যর্থ মনোরথে তিনি জেলটি রেখে দেন।
এর কয়েক বছর পরে ল্যাবরেটরী পরিষ্কার করবার সময় তিনি জেলটি খুঁজে পান এবং এবার নতুন একটি পরীক্ষার কথা ভাবেন। তিনি এই জেলের মধ্যে আরো কিছু রাসায়নিক যৌগ ব্যবহার করেন এবং তা একটি ফুলের সাথে যুক্ত করেন।
ডেভ গোলসন নামের এক জীববিজ্ঞানী বলেন, “মৌমাছিদের জন্য খাবার দিন দিন শেষ হয়ে আসছে। অবাধে বৃক্ষ নিধন করার ফলে তারা আর তাদের চাহিদামত খাবার পাচ্ছে না। এদেরকে নানা ধরণের কীটনাশক দিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকে। এই কারণে মিয়াকোর এই আবিষ্কারটি হয়ত ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে মৌমাছিদের জন্য।” তবে এর মাঝে কিছু কিন্তু রয়েছে।
কারণ, মিয়াকো যে জেলটি আবিষ্কার করেছেন, তিনি ভাবছেন এই জেলের মাধ্যমে যেসব ফুল থেকে মৌমাছি খাবার সংগ্রহ করে, তারা খাবার বা মধু আহরণের ক্ষেত্রে লাভবান হবে। কিন্তু বিষয়টি বেশ কৃত্রিম হয়ে যাচ্ছে এবং একই সাথে সাথে মৌমাছিদের স্বাভাবিক খাদ্যগ্রহন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
মিয়াকোর জেল আসলেই কি কোন কাজে লাগবে মৌমাছিদের?
   মিয়াকোর জেল আসলেই কি কোন কাজে লাগবে   মৌমাছিদের?
আরো একটি কারণ হচ্ছে, এই জেল কখনো খাবারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় নি। তাই এটি খাবারের সাথে মিশলে তার ওপর যে বিষাক্ত কোন প্রতিক্রিয়া ঘটাবে না, তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।
গোলসন বলেন, “মিয়াকো যা করেছেন সেটি হয়ত বেশ ভালো একটি উদ্যোগ হতে পারে কিন্তু এর কোন বাস্তব ভিত্তি বা ফলাফল এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে আসে নি। ব্যাপারটি আমার কাছে এখন কিছুটি পাগলামিই মনে হচ্ছে।”

শেষ পর্যন্ত দেখাই যাক, মিয়াকোর তৈরি জেল কোন কাজে লাগে!

সূত্রঃ popular science

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here