স্মার্টফোন মানবজীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যোগাযোগ রক্ষার জন্য বার্তা প্রদান থেকে শুরু করে অনলাইনে শপিং পর্যন্ত আজকাল মোবাইলের মাধ্যমে করা হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মানুষ মোবাইল ইন্টারনেটের উপর বেশি নির্ভরশীল। ইন্ডিয়া, নাইজেরিয়া কিংবা ইন্দোনেশিয়ার মত দেশগুলোকে স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অগ্রদূত ধরা হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশেও এর ছোঁয়া লেগেছে এবং যুবসমাজ স্মার্টফোনকে তাদের প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে গন্যকরছে। একটি জরিপে দেখা গেছে এশিয়া এবং আফ্রিকায় গত ১ বছরে মোবাইলের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দিগুণেরও বেশি।
একই সাথে বেড়েছে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার। সূত্র মতে মোবাইল ডাটা ব্যবহার গত বছরের তুলনায় শতকরা ৮১ ভাগ বেড়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে স্মার্টফোনের ব্যাপক প্রচলন এবংঅন্যান্য ডিভাইস যেমন ট্যাব কিংবা আই-প্যাড ইত্যাদির ব্যবহার। তথ্য মতে মানুষ ফেসবুক এবং ভিডিও দেখতে বেশি মোবাইল ডাটা ব্যবহার করছে। সারা বিশ্বে যে পরিমাণ মোবাইল ডাটা ব্যবহার হয় তার শতকরা ৩৫ ভাগ হয়ে থাকে এশিয়া এবং আফ্রিকায়। এই এলাকার অনেক মানুষের কাছেই প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডেক্সটপ কম্পিউটারের চেয়ে মোবাইল বেশি পরিচিত। অনেকেই হয়তো কম্পিউটারের সাথেপরিচিতও না।
এখন প্রশ্ন হতে পারে কেন মোবাইল ইন্টারনেটের এই ব্যপক প্রসার? এর উত্তরে আমরা বলতে পারি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। প্রথম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা এবং কম দাম। এছাড়া সাধারণ মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ইন্টারনেটের সহজলভ্যতাও আরো একটি কারণ। এই দেশগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিস্থিতি খুবই প্রসার লাভ করেছে এমনকি বাংলাদেশে থ্রিজি নেটওয়ার্কের সহজলভ্যতা প্রমাণ করে মানুষের চাহিদা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের এই চাহিদার প্রভাব এসে পড়েছে ই-কমার্স সেক্টরেও। এই প্রথমবারের মতো ধারণা করা হচ্ছে এশিয়ার দেশগুলো উত্তরআমেরিকার চেয়ে বেশি অনলাইন শপিং করবে। এই ধারনার পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের এই অগ্রসরতা। তাইআমাদের দেশে বিদ্যমান ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোকে এইবিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
সুত্রঃ লামুদি জার্নাল