ইলেক্ট্রনিক্স নিয়ে আমাদের একটি বিভাগ থাকলেও তেমন একটা লিখা হয় নি। তাই আজকে ভাবলাম, আপনাদের সাথে কিছু সার্কিট ডায়াগ্রাম নিয়ে আসি। যে সার্কিট ডায়াগ্রাম টি আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব, তা হচ্ছে কিভাবে আপনি আপনার নিজের খুবি সাধারন লাই ডিটেক্টর বানাবেন।

2011-01-11_131132

একজন মানুষ যখন মিথ্যা কথা বলে তখন সাধারনত তার শ্বাস-প্রশ্বস হার, হার্ট বিট, ব্লাড প্রেসার, এবং ঘাম এ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, লাই ডিটেক্টর ঠিক সেই পরিবর্তন গুল কেই মনিটর করে। যাদিও আমি আপনাদের সাথে যে সার্কিট টি নিয়ে আলোচনা করব, তা এতটা জটিল ভাবে কাজ করে না। এই সার্কিট টি যার উপরে প্রয়োগ করবেন, তিনি মিথ্যা কথা বলার সাথে সাথেই তার চামড়ার প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে, যা আপনার সার্কিটে বসানো আনালগ মিটারে দেখাবে।

যা যা লাগবেঃ

সার্কিট বোর্ড

ক্যাপাসিটর (C1:১ মাইক্রফেরাড)

রেসিস্টর (R1:৩৩ কিলোওহম, R3: ১.৫ কিলোওহম )

ভেরিয়েবল রেসিস্টর (R2: ৫ থেকে ১০ কিলোওহম)

ট্রান্সিস্টর (Q1: 2N3565)

এনালগ মিটার (M1: 0-1 mA)

৬ টা পেন্সিল ব্যাটারি (১.৫ x ৩ = ৪.৫ এবং ১.৫ x ৩ = ৪.৫)।

২ টি ইলেকট্রোড / ২ টি ক্লিপ।

lie

প্রথমেই, যাকে পরিক্ষা করবেন, তার হাতে ইলেকট্রোড / ক্লিপ দুটি লাগিয়ে দিন। লক্ষ রাখবেন, আপনার এই দুটি ইলেকট্রোড / ক্লিপ কিন্তু আপনার সার্কিটের ইনপুট হিসেবে কাজ করবে। তাই চামড়ার সাথে এই দুটি ইলেকট্রোড / ক্লিপ যেন ভাল ভাবে সংসুক্ত থাকে। এবার, সার্কিটে দেখানো R2 (ভেরিয়েবল রেসিস্টর)টি কে বাড়িয়ে অথবা কমিয়ে আপনার এনালগ মিটারের মান টিকে  শুন্যে নিয়ে আসুন। আপনার সার্কিটের প্রস্তুতি শেষ।

এখন আপনি আপনার প্রশ্ন করুন। যাদি দেখেন, আপনার এনালগ মিটার এর কাটা নেগেটিভের দিকে যাচ্ছে, তবে যাকে আপনি প্রশ্ন করছেন, তিনি মিথ্যা বলছেন।

ব্যাস হয়ে গেল আপনার নিজের খুবি সাধারন মিথ্যা কথা ধরার যন্ত্র।

বিঃদ্রঃ সার্কিট ডায়াগ্রাম টি aaroncake.net থেকে নেয়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here