সময়ের গতির সাথে পাল্লা দিয়ে নতুন নতুন ব্লগের সংখ্যা বাড়ছে, সাথে সাথে বাড়ছে ব্লগের জনপ্রিয়তাও। আজ ব্লগিং এর কোন সীমারেখা নেই । একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটই হোক আর কোন ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটই হোক নেভিগেশন বারে Blog বা ব্লগ লেখাটি আমাদের প্রায়ই চোখে পড়ে। কখনো কখনো দেখা যায় শুধুমাত্র ব্লগের কারণে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটে ভিজিটর সংখ্যা অনেক বেশি হয়। ব্লগ আজ যেমন সাধারণ বিষয়ে আলোচনার যেমন মুক্তমঞ্চ, ঠিক তেমনি সরকারের বিভিন্ন কাজের গঠন মূলক সমালোচনা, গবেষণার ফলাফল প্রকাশের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রকাশ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সার্বক্ষণিক সেবাদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানেও পরিণত হয়েছে।

p2গবেষণা, গবেষণার ফলাফল প্রকাশ এবং প্রয়োজনীয় আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করতে ব্লগিং

ব্যক্তিগত ব্লগ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের ওয়েব সাইটের সাথে একটা ব্লগ থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরণের ব্লগ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কৃষি ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা এবং গবেষণার ফলাফল প্রকাশের অন্যতম ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে পারে। একটা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদেরকে প্রায়শই নানা রকম বিষয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়, এমনকি নতুন কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টাও করতে হয়। এ ধরণের গবেষণার বিষয়বস্তুকে ঐ প্রতিষ্ঠানের ব্লগের মাধ্যমে খুব সহজেই প্রকাশ করা যায়। শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীরাও তাদের অর্জিত জ্ঞানকে প্রকাশ করতে পারে। যে কোন সমস্যার দ্রুত সমাধানে সম্মিলিত আলোচনাও করতে পারে। সর্বপরি গবেষণার ফলাফল প্রকাশের একটি অন্যতম মাধ্যম ব্লগিং।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় নতুন মাত্রা সৃষ্টির সম্ভাবনা

p1অনেকেই ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিভিন্ন ধরণের গবেষণা পরিচালনা করে থাকেন। এ ধরণের গবেষণার বিষয়বস্তু সংবাদপত্র বা অন্যান্য মিডিয়ার কাছে বিস্তারিত ভাবে তুলেধরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না, অথচ একটি ব্লগের মাধ্যমে তা খুব ভালোভাবেই সম্ভব। পাশাপাশি অন্যদেরকেও গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করা যায়। দীর্ঘ মেয়াদী সময় ধরে পরিচালিত কোন গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমিকভাবে ব্লগের মাধ্যমে প্রকাশ করলে জনসাধারণের তাৎক্ষণিক মতামত, সুফল, কুফল, ব্যবহারের সম্ভাবনা ইত্যদি বিষয়ে উপযুক্ত ধারণা লাভ করা যায়। যা গবেষণায় নতুন মাত্রা সৃষ্টি করতে পারে।

p3

গবেষণার লক্ষমাত্রা বাস্তবায়ন

গবেষণার প্রধান লক্ষ হচ্ছে কৌশলগত উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যাবহার যোগ্য সেবা বা দ্রব্য সামগ্রী প্রস্তুত করা এবং চুরান্ত পর্যায়ে ব্যবহারকারীর সর্বত্তম ব্যবহার নিশ্চিৎ করা। আমাদের দেশে গার্মেন্টস শিল্পটি বেশ সমৃদ্ধ। এ শিল্পেও প্রতিনিয়ত গবেষণা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। ক্রেতাদের পছন্দ, রুচি, কাঁচামাল, পণ্যের দাম ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় প্রতিটা প্রতিষ্ঠানেরই একটা করে ওয়েব সাইট রয়েছে। এ সকল ওয়েব সাইটে ব্লগের মাধ্যমে নতুন পণ্যের গুণাগুণ, ব্যবহার পদ্ধতি, লাইফ স্টাইল, ইত্যাদি উপস্থাপন করে ক্রেতাদের সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। ব্যবহারকারীদের সমস্যা, সমাধান, পরামর্শ, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ইত্যাদি আলোচনা করা হলে প্রতিষ্ঠানের গ্রহণ যোগ্যতা এবং পরিচিতি যেমন বাড়বে ঠিক তেমনি গবেষণার ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা হবে।

………………………………………………………………………………….

ধন্যবাদ সবাইকে।সবার জন্য শুভকামনা রইল ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here