১৯৭২ সালে ক্লাব অব রোম নামের একটি সংগঠন “দ্য লিমিটস টু গ্রোথ” নামক একটি বই প্রকাশ করে। এই বইয়ের মূল বক্তব্য ছিল, যে হারে মানুষ বাড়ছে তা পরিবেশের ওপর কতটুকু বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং এর ফলে নানা মূল্যবান খনিজ ও আকরিক যেমন, পেট্রোলিয়াম, স্বর্ণ ও লোহা কতটুকু হারে কমবে।
প্রত্যেকটি জৈবিক বাস্তুসংস্থানেরই একটি নির্দিষ্ট ধারণক্ষমতা রয়েছে। এই ধারণক্ষমতার মধ্যে যে কোন প্রজাতিরই সর্বোচ্চ সংখ্যক অংশ সে নিজের মাঝে রাখতে পারে। যেমন বলা যেতে পারে, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে মাটি, বৃষ্টি ও নানা ধরণের প্রাণ ধারণ করার জন্য নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক উপাদান দেয়া হয়, তবে তা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুযায়ী জীবাংশ নিজের মাঝে ধারণ করতে পারবে।এর চাইতে বেশী কখনোই নয়।
বাস্তুসংস্থানকে মূলত একটি দ্বীপের সাথে তুলনা করা যেতে পারে, যে দ্বীপে সবকিছুই নির্দিষ্ট পরিমাণে থাকবে।যদি দ্বীপের কোন অংশে এর চাইতে বেশী হয়ে যায়, তাহলে প্রত্যেকটি জীবই তাঁর নির্দিষ্ট বেঁচে থাকার ক্ষমতা হারাবে।
১৯৬০ সালে পৃথিবীতে যে পরিমাণ মানুষ ছিল, ২০১৭ সালে এসে দেখা যাচ্ছে এর প্রায় ৩ গুণ মানুষ বেড়ে গিয়েছে। এতোগুলো মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার, অক্সিজেন, বাসস্থানের জায়গা ইত্যাদি বণ্টন করে দিতে গেলে পৃথিবীকে খুবই হিমশিম খেতে হচ্ছে বৈকি। দিন যত বাড়তে থাকবে মানুষের বৃদ্ধির সাথে সাথে তাঁর চাহিদাও বাড়তে থাকবে। আগামী ২০ কিংবা ২৫ বছরে পৃথিবীর বর্তমান অবস্থা যা রয়েছে, তাঁর চাইতেও কি খারাপ পর্যায়ে যাবে না? এ থেকে মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে। প্রকৃতপক্ষেই, পৃথিবীর সঠিক ধারণক্ষমতা আসলে কত? জীবের এই বিপুল বিস্ফোরণের কারণে ধরিত্রী কি দিন দিন হাঁপিয়ে উঠছে না?
সূত্রঃ cooltechlists.com