লোডশেডিং এর যন্ত্রনা এড়াতে কিংবা ভ্রমনে নিজের সঙ্গী করে নিতে বাজেটের ভেতর একটা ল্যাপটপ কেনার শখ অনেকেরই থাকে। আমার নিজেরও ছিল। আর সেই ল্যাপটপটি যদি হয় একটা গেমিং ল্যাপটপ তাহলে তো আর কথাই নেই! হ্যা, এমনই একটা ল্যাপটপ হলো ASUS X42JY।
গ্রীষ্মকাল চলে আসায় লোডশেডিং এর যন্ত্রনায় ডেস্কটপ ব্যবহার করা এখন দূঃসাধ্য ব্যাপার। কাজের মাঝে বিদ্যুৎ চলে গেলে কার না খারাপ লাগে ? তাই এসএসসির পরপরই ডেস্কটপ ছেড়ে একটা ল্যাপটপ কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি আবার প্রচুর গেমও খেলি তাই কম বাজেটের ভেতর একটা গেমিং ল্যাপটপই চাচ্ছিলাম। বেশ কিছুদিন তথ্য জোগাড় করে ও সবার উপদেশ নিয়ে অবশেষে কিনে ফেললাম নীল রঙের একটা ASUS X42JY। যারা স্মার্ট ও কালারফুল ল্যাপটপ খুজছেন তাদের জন্য নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা পছন্দ হতে পারে এটি।অসাধারন আউটলুক ও কনফিগারেশনের এই ল্যাপটপটির বর্তমান মূল্য মাত্র ৪৭৫০০ টাকা। দামটা একটু বেশি লাগলেও এর কনফিগারেশন শুনলে আপনার কাছে মোটেই বেশি মনে হবেনা। তাহলে দেখে নেয়া যাক কী কী আছে এই ল্যাপটপে:
ASUS X42JY
প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই থ্রি ২.৫৩ গিগাহার্জ (ক্যাশ মেমোরি ৩ মেগাবাইট)।
মেমোরী (র্যাম): ৩ গিগাবাইট ডিডিআর ৩।
গ্রাফিক্স: ১ গিগাবাইট ডিডিআর ৩ ATI Radeon 6470 ।
পর্দা: ১৪”।
রেজুলেশন: ১৩৬৬x৭৬৮ ।
অপটিকাল ডিস্ক ড্রাইভ: ডিভিডি রিড/রাইট।
ক্যামেরা: ১.৩ মেগাপিক্সেল।
ব্যাটারি: ৬ সেল।
ওজন: ২.১ কেজি।
মূল্য: ৪৭৫০০ টাকা।
এছাড়াও ল্যাপটপটি বিভিন্ন রঙেও পাওয়া যাচ্ছে। মোট ছয়টি রঙ থাকলেও বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে শুধুমাত্র লাল ও নীল এই দুটি রঙেই পাওয়া যাচ্ছে।
গেম খেলা ও মাল্টিটাস্কিং এর জন্য এতে রয়েছে কোর আই৩ প্রসেসর, ৩ গিগাবাইট মেমোরি বা র্যাম এবং ATI Radeon ১গিগাবাইট ভির্যাম অর্থাৎ গ্রাফিক্স যার সাহায্যে আপনি সহজেই যেকোন উচু মানের গ্রাফিক্সের গেম খেলতে পারবেন। এর কীবোর্ডটাও একটু ভিন্ন ধরনের। কীবোর্ডের কী গুলোর মাঝে ফাকা জায়গাটি পূর্ণ করে দেয়া হয়েছে ফলে এর ভেতরে ধুলো বা ময়লা ঢোকার কোন সুযোগ নেই।
তাছাড়া এর টাচপ্যাডটাও আকর্ষণীয় এবং ব্যবহার করাও বেশ আরামদায়ক।
স্লিম ডিজাইনের এই ল্যাপটপটা দেখতে যেমন চমৎকার, তেমনি বহন করাও খুব সহজ।
আপনি যদি একজন গেমার হন কিংবা নোটবুকেই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজ করতে চান তাহলে নিঃসন্দেহে বাজেটের ভেতর ASUS X42JY ই হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ, ধন্যবাদ। 🙂
দারুন একটা ল্যাপটন িকনেলন ভাই।
কথা হেচ্ছ এটা িদে িক উচ্চ মােন গ্রািফকস িডজাইন করা যােব িক?
ধন্যবাদ
আমি তো ক্রাইসিস ২ এর মত উচু মানের গ্রাফিক্সের গেম খেলছি। করা যাবার কথা 🙂
ভাল ল্যাপটপ কিনছ ভাই। কিন্তু আমাদের তো এত টাকা নাই। HP compaq এর ল্যাপটপ কেমন হবে বলতো????
ব্যক্তিগত মতামত চাইলে এইচপি কমপ্যাক এর থেকে এইটপি প্যাভিলি্রযন নেয়া ভাল। আমার জানা মতে যে কয়জন কমপ্যাক নিয়েছে তাদের সবারই কিছু না কিছু সমস্যা হয়েছে।
কমপ্যাকে হার্ড টাইম দেয় বেশী। প্যাভিলিয়ন কিনলে ভাল।
ল্যাপটপের ডিজাইন (কিবোর্ড/টাচপ্যাড) তো পুরা আমারটাই। 😀 দেখার শখ হইতেসে। 🙁
ক্যাশ মেমোরি কী কাজে লাগে আজও বুঝলাম না। 🙁
আমারটায় র্যাম ২ জিবি। আরো ২ জিবি বাড়াবো হাতে কিছু টাকা আসলে। তাহলে ৬৪বিট অপারেটিং সিস্টেমের মজা উপভোগ করতে পারবো। তোমারটা ৬৪বিট সাপোর্ট করার কথা। করে?
প্রসেসর ডাটা প্রসেসিং এর জন্য ডাটা হার্ডড্রাইভ থেকে র্যাম এ আনে প্রথমে। তারপর ক্যাশ মেমরীতে নিয়ে প্রসেস করে। ক্যাশ মেমরীর গতি র্যাম এর চাইতে কয়েক গুন বেশি। তাই ক্যাশ যত বেশি, প্রসেসিং স্পীড তত বেশি 😀
এবার মোটামুটি পরিস্কার 😀
এএমডি কমদামী প্রসেসর বানায়া পার পায়া যায় কিন্তু ক্যাশ মেমরী কমের কারণে ইন্টেল এর কাছে ধরা খায়। এএমডি দিয়া ত্রিডি ডিজাইনিং এর সময় টের পাওয়া যায় যন্ত্রণা কত প্রকার ও কি কি! 😛
ভাল জিনিষ কিনস রাহাত। শুভ হোক তোমার গেমিং এর দিনগুলো! 😀
ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙂
ধন্যবাদ, খুলে লেখার জন্য…
দেখতে চাইলে বাসায় চলে আসো একদিন 😀
ক্যাশ মেমোরির সঠিক কাজটা আমিও জানিনা, শুধু জানি এটা গেমস, গ্রাফিক্সের কাজ কিংবা মাল্টিটাস্কিং এর জন্য যদিও আমি নিশ্চিত নই 🙁
আর হ্যা, ৬৪ বিট সাপোর্ট করে, দেয়াও ছিল কিন্তু আমি আবার ৩২বিট ইন্সটল করে নিয়েছি। ৬৪ বিটে গেমস চালাতে সমস্যা হয়।
টমসহার্ডওয়ার সহ বিভিন্ন ফোরাম আসে…ঐগুলা ঘাটবা…সব কিলিয়ার হয়ে যাবে…এক্কেবারে জলের মত সোজা! 😀
ল্যাপটপের ডিজাইন খুব সুন্দর…………….ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ।
টাকা থাকলে আমারটা বিক্রি করে এটা কিনতাম ………কালার টা পছন্দ হইছে…..পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া
এটার পেছনের দিকটা নীল আর কালো মিশিয়ে করা হয়েছে। এজন্য দেখতে আরো সুন্দর লাগে। আপনাকেও ধন্যবাদ 🙂
ভাইরে, দেখে দুঃখ লাগতেছে। আমার মরার ল্যাপটপটা ফেলায় দিতে ইচ্ছা করতাছে। মোস্ট ওয়ান্টেডেই কাপা শুরু করে দেয়। এর ভাল গেম তো চলেই না! দুঃখে আছি ভাই 😥
কী আর বলবো ভাই। আমার আগেরটারো একই অবস্থা কিন্তু ওইটা আমার বোন নিয়ে যাওয়ায় বেচে গেলাম !
দেখি আব্বুকে বলব। এটা বিক্রি করে একটা ডেক্সি কিনব 😐
বাংলাদেশে Alienware পাওয়া যায় না?…Kabbo ভাইয়ের মত আমার ল্যাপটপ এর গেমিংইয়ের দৌড়ও NFS: Most Wanted পর্যন্ত। এরপরে যেসব গেম বের হয়েছে তার একটাও ভিডিও কার্ডয়ের জন্য চালাতে পারি না।
হ্যা, কয়েকদিন আগেই Alienware এসেছে কিন্তু ওগুলো একটাও কম বাজেটের নয়। তাছাড়া শুনেছি ওজনও অনেক বেশি, ৫কেজির মত। ডেস্কটপের মত ফেলে রাখতে হবে 😕
এলিয়েনওয়ার বেশী দাম! কাস্টম কনফিগে নিতে না পারলে লস! কারণ অনেক কিছু ডিফল্টভাবে আসেনা যা গেমাররা সাধারণত পছন্দ করে। টাকা থাকলে এলিয়েনওয়ার গুড কারণ ওদের বেঞ্চমার্ক অনেক টাইটভাবে করা হয়।
উফঃ জিব্বাহ থেকে লোল পড়ে যাচ্ছে ল্যাপটপ ও তার সিষ্টেম দেখে।
পরীক্ষা একটু শেষ হোক
ইংসাআল্লহ এরকম একটা ল্যাপটপ বাসায় সঙ্গী করে আনছি
ধন্যবান এরকম পোষ্টের জন্য
শুভকামনা রইলো 😀
এক কথায় চমত্কার।
ধন্যবাদ।
ভাইজান! এ ল্যাপটপ এর কোনো বাগ নেই? সব ল্যাপটপ এ একটা না একটা Disturb!
এখন পর্যন্ত তো কোন বাগ পেলামনা !
সত্যি সত্যি এই ল্যাপটপের ব্যাগ নেই???
ব্যাগ আছে ! বাগ নেই ! 😛
ভাই আমার তো পছন্দ হয়ে গেছে। আমি আগামী মাসেই ইনশাল্লাহ কিনতেছি। কোথা থেকে কিনবো একটু হিন্টস দিবেন রাহাত ভাইয়া।
আসুসের মেইন ডিলার গ্লোবাল ব্র্যান্ড, তাই গ্লোবাল ব্র্যান্ডের শোরুম থেকে কেনাই ভাল হবে। বিসিএস কম্পিউটার সিটির ২য় তলায়। 🙂
সব ই ঠিক আছে কিন্তু আসুসের এই ল্যাপ্টপ গুলোর কিবোর্ড ভালোনা । আমার ইউ এল্ভি সিরিজের ল্যাপটপ এই কিবোর্ড এর । একবছর ব্যাবহার করছি এখন স্পেস বার বসে যায় 🙁
ভাইরে মাত্র ৫০০০ টাকা বেতনের চাকরি করি, এত টাকা দিয়া ল্যাপটপ কেমনে কিনমু?
আমি dell inspiron n5110 মডেলের core i7 , 6gb ram , nvidia gt 525m এই নোটবুক ব্যবহার করি । আমার win 7 x64 দেওয়া আছে । এখন আমার সমস্যা হচ্ছে high graphics এর গেম যেমন nfs hotpersuit খেলতে মনে হয়েছে অনেক আটকা আটকি করছে । আমি এই সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাব ??? রাহাত ভাইয়া আমি আপনার চেয়ে এক বছরের জুনিওর । আমি এবছর ssc এক্সাম এর ভিতর নোটবুক টি কিনেছি ।