বাংলাদেশ ডাক বিভাগ হবে বাংলাদেশের ই-কমার্সের কেন্দ্রস্থল।এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় রাজধানীর গুলিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সভা কক্ষে ই-কমার্স পণ্যের ডেলিভারি সেবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডাইরেক্টর জেনারেল প্রবাশ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ডেলিভারি সেবার উদ্বোধন করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট তারানা হালিম, এমপি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) শুধাংশু শেখর ভদ্র, কেন্দ্রীয় সার্কেলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহবুব রশিদ, ই-ক্যাব সভাপতি রাজিব আহমেদ এবং ই-ক্যাব উপদেষ্টা শমী কায়সারসহ আরো অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট তারানা হালিম বলেন, কয়েক মাস আগে আমি বলেছিলাম ডাক বিভাগ হবে বাংলাদেশের ই-কমার্সের হাব। সেই লক্ষ্যে আজ প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের ৯৮৮৬টি ডাকঘর প্রস্তুত আছে সব রকমের সেবা নিয়ে। তিনি আরো জানান, জানুয়ারী মাসে ১৮টি গাড়ী রাস্তায় নামবে। পর্যায়ক্রমে আরো গাড়ী ডেলিভারি সেবার জন্য আনা হবে। এসব গাড়ীর ২০ শতাংশ চালক হবে নারী। ই-কমার্স নারী ক্ষমতায়নে সাহায্য করবে এবং মধ্য স্বত্ব ভোগীদের দৌরত্ব কমাবে।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডাইরেক্টর জেনারেল প্রবাশ চন্দ্র সাহা তার বক্তব্যে বলেন, আজ থেকে দেড় বছর আগে ই-কমার্সের সাথে আমরা কাজ শুরু করি।অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজকের এই দিনে আমরা উপস্থিত হয়েছি।তিনি আরো বলেন, ডাক বিভাগ ২০১০ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মোবাইল মানি অর্ডার সেবা শুরু করে।ই-কমার্স ডেলিভারি সেবার জন্য ঢাকার ১১ পোষ্ট অফিসের কর্মচারীদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
ই-ক্যাব উপদেষ্টা শমী কায়সার বলেন, নারী ক্ষমতায়নকে সামনে রেখে আমি ই-কমার্সের সাথে যুক্ত হয়েছি। ডাক বিভাগের এই ডেলিভারি সেবা তৃনমুল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। কেননা ডাক বিভাগের নয় হাজারের বেশি পোষ্ট অফিস সারা বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। আমাদের পণ্যের / সেবার ভিন্নতা অনেক তাই এক সময় আমাদের এখানে আলিবাবা, এমাজনের চেয়ে বড় কিছু হবে।
ই-ক্যাব সভাপতি রাজিব আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতিদিন ২০ হাজার ডেলিভারি প্রসেস করা হয়। অন্যদিকে চায়না প্রতিদিন ৬ কোটি ডেলিভারি প্রসেস করে।আমরা আশা করি অচিরেই প্রতিদিন ১ লক্ষ পণ্য ডেলিভারি প্রসেস করবো। ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে মোবাইল বা কম্পিউটার নয় বরং সবার কাছে ডিজিটাল সেবা পৌছে দেয়া।
উল্ল্যেখ্য ডাক বিভাগ প্রাথমিকভাবে ঢাকার ১১টি পোষ্ট অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারি নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ২১টি পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে ডেলিভারি প্রসেস করবে। ই-ক্যাশ কার্ড ও পোস্টাল ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে ডেলিভারি চার্জ পরিশোধ করা যাবে।