এক্স রে এর মতই বিজ্ঞানীরা নতুন একটি প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন। এর মাধ্যমে প্রায় নয় পাতা পুরুত্বের কোন ছাপানো কাগজের হরফ বেশ সহজেই পড়ে ফেলা যাবে। মজার ব্যপার হচ্ছে এটি বিজ্ঞানীরা করবেন বইটি না খুলেই। কিভাবে তা করা হবে?
এই প্রযুক্তিটি সাহায্য করবে মূলত অফিসের কাজে। যেসব অফিসে প্রতিদিন কয়েক রিম কাগজ স্ক্যান করা হয়, তাদের আর এই কষ্ট করা লাগবে না। কিংবা কোন গবেষকের প্রাপ্তিতে ঐতিহাসিক কোন বই রয়েছে। তা এতোটাই ভঙ্গুর যে পড়তে গেলে হয়ত ভেঙ্গে পড়বার আশংকা থাকে। তাদের সাহায্য করবে এই নতুন প্রযুক্তি।
এই প্রোটোটাইপ যন্ত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে টেরাহার্টয তেজস্ক্রিয়তা, মাইক্রোওয়েভ ও ইনফ্রারেড আলোর মাঝে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক গুচ্ছ। এর আগের কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে টেরাহার্টয রশ্মি এক্স রশ্মির থেকে কিছুটা বেশি সুবিধা দিয়ে থাকে। মুহুর্তের মাঝেই কালি এবং একটি সাদা কাগজের মাঝে পার্থক্যটি ধরতে পারে টেরাহার্টয রশ্মি বা টি-রশ্মি। এটি এক্স রশ্মি পারে না সাবলীলভাবে। আলট্রাসাউন্ডের চাইতেও বহুগুণে এটি কোন ছবি ভালো রেজ্যুলেশনের মাঝে এটি স্ক্যান করতে পারে। এই নতুন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেখা যায় যে তেজস্ক্রিয়তার মাধ্যমে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে যে ফারাক রয়েছে, তা এটি সহজেই বুঝে নিতে পারে।

যেমন একটি সাদা কাগজ ও একটি লিখিত কাগজের মাঝে পার্থক্যটি ধরার ক্ষমতা এটির রয়েছে।
এছাড়াও, আলো বিভিন্ন ডিগ্রিতে বেঁকে গেলে কেমন ধরণের আচরণ করতে পারে তা এটি ব্যাখা করে। বাতাস ও কালির মাঝে যে সম্পর্ক তা ধরবার জন্য এটির মাঝে বাতাসের কিছু পকেট ব্যবহার করা হয়, যা প্রায় ২০ মাইক্রন গভীর। এটি মানুষের চুলের যে সাধারণ প্রস্থ হয়, তার পাঁচভাগের একভাগ। বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে বিভিন্ন বইয়ের মাঝে যে বার্তা রয়েছে তা এটি ধরতে সক্ষম এই বাতাসের পকেটের সাহায্যে।
বিজ্ঞানীরা একটি টেরাহার্টয ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন এই কার্ড সাইজের গুচ্ছটিকে স্ক্যান করবার জন্য। এর একটি পার্শ্বে ৮ মিলিমিটার লেখা ছিল কালির মাধ্যমে।
সূত্রঃ Live Science