সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে খুব দ্রুত ফেইক বা মিথ্যা সংবাদ দ্রুত ছড়ায়। আর এ ধরনের সংবাদও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি মানুষ শেয়ার করে। বিশেষ করে বর্তমানে ফেসবুকেই যে কোন ধরনের ফেক সংবাদ দ্রুত ছড়ায়। অনেক সময় ফেসবুক আইডি হ্যাকড করেও অনেকেই এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ ছড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী এক শতাংশ মিথ্যা খবর (ফেক নিউজ) এক হাজার থেকে এক লাখ লোক শেয়ার করে থাকে। আর এমন বিষয়টি কাজ করছে নানা সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থা চেকোলজি নামের একটি পদ্ধতির মাধ্যমে বিশ্বের ৯০টি দেশের ছাত্রদের এ বিষয়ে শেখাচ্ছে— কীভাবে খবর এবং অন্যান্য তথ্যকে যাচাই করতে যায়।
নিউজ লিটারেসি প্রজেক্টের আওতায় তৈরি করা চেকোলজি’র প্রধান অ্যালান সি মিলার জানান, ‘চেকোলজি নামের একটি পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা ছাত্রদের শেখানোর চেষ্টা করি, কীভাবে কোনও তথ্যকে বিশ্বাস ও শেয়ার করতে হবে। ’
তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মিনিটে ইউটিউবে ৪৩ লাখ ভিডিও দেখা হয়, ১ দশমিক ৮ কোটি টেক্সট মেসেজ করা হয় এবং ৩ দশমিক ৭৫ লাখ অ্যাপ ডাউনলোড করা হয়। কোনও ব্যক্তি যদি এই গোটা বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায় বা অন্যকে ধোঁকা দিতে চায়, তবে তা বন্ধ করার কোন ব্যবস্থা নেই।
একই ভাবে সংবাদের পাশাপাশি নানা ধরনের নিউজ ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনও ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অ্যাপ স্টোর ও প্লে স্টোরে। যেখানে সাধারণ ব্যবহারকারীদের অ্যাপ দেখে বোঝার উপায় নেই সেটি নকল।
চেকোলজির মাধ্যমে মূলত মৌলিক শিক্ষা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। তবে উচ্চশিক্ষার জন্য গুণতে হয় বাড়তি খরচ। সেটি তিন ডলার। এই পদ্ধতি গ্রেড ৫ থেকে ১২ ক্লাসের শিক্ষার্থীরা ২০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেই জ্ঞান অর্জন করে কোনটি সত্যি ঘটনা এবং কোনটি বানানো গল্প, তারা সেটি বুঝতে সক্ষম হবে। বিস্তারিত জানা যাবে চেকোলজি ঠিকানায়।