“আইস এইজ” ছবিটি যারা দেখেছেন তাদের অবশ্যই বিশালাকায় ম্যামথ হাতি ‘ম্যানি’র কথা মনে আছে। আজ সেই ম্যামথ হাতির কথাই বলা হবে। তবে অ্যানিমেটেড কোন ছবির কথা না, বরং সত্যিকারের ম্যামথ হাতির কথাই বলছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রায় দশ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া এই প্রাণীরা মূলত ভূমিতে ও মেরু অঞ্চলে বসবাস করত। এদের বিলুপ্ত হবার প্রধান কারণ বলে ধারণা করা হয় মানুষের অবাধভাবে এদের হত্যা করা। পাঁচ হাজার বছর আগে সেন্ট পলসের বরফাবৃত এলাকায় পাওয়া যেত। তারা বরফ ঢাকা অঞ্চলের সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছিল। কিন্তু বরফ যুগের শেষ যুগে পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে উষ্ণ হতে থাকে এবং তারা তাদের জন্য সুপেয় পানির যে খোঁজ, তা হারিয়ে ফেলে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, পানির কষ্টও তাদের বিলুপ্তির একটি অন্যতম প্রধান কারণ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন পশমী সেই অতিকায় দানবদের ফিরিয়ে আনা এখন কেবলমাত্র সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিলুপ্ত প্রাণীদের আবার ধরণীর বুকে ফিরিয়ে আনা নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। তারা এখন যে জিনিসটি নিয়ে চিন্তিত তা হচ্ছে, হাজার হাজার বছর আগে বিলুপ্ত এই প্রাণীদের তাদের আগের পরিবেশ ফিরিয়ে দেয়া আদৌ সম্ভব হবে কি না।
ঘাসের যে জমিতে আদিম ম্যামথরা তাদের বাস্তুসংস্থান গঠন করে নিয়েছিল, তা আজকের পৃথিবীর থেকে অনেক অনেক আলাদা। পৃথিবী এখন অনেক বদলে গিয়েছে। পট পরিবর্তনে নানা ধরণের পরিবর্তন এসেছে। ভূ সংলগ্ন যেসব স্থান রয়েছে তাতেও নানা ধরণের পরিবর্তন এসেছে। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে এমন একটি পরিবেশ আবার নতুন করে তৈরি করা সম্ভব।
বিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র সেসব প্রাণীদের ফিরিয়ে আনার কথা বলেছেন যেসব প্রাণীরা অনেক বছর আগেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। তারা কিভাবে বর্তমানে বাস্তুসংস্থানের সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারবে, তাই হচ্ছে বিজ্ঞানীদের এখন একমাত্র চিন্তা। তারা আশা করছেন যদি এসব প্রাণীদের আবার ফিরিয়ে আনা যায় তবে তা পরিবেশের জন্য অনেক উপকারী হবে।