পৃথিবীতে এ পর্যন্ত প্রায় দশ লক্ষ প্রজাতির প্রাণী পাওয়া গিয়েছে। এদের প্রত্যেকে এমন একটি প্রজাতির বংশধর, যারা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে কিংবা যারা সম্পূর্ণ নতুন এক প্রজাতি হয়ে আমাদের সামনে ধরা দিয়েছে। এদের সম্পর্কে নানা ধরণের তথ্য আমাদের কাছে আছে, কিন্তু মজাদার কোন তথ্য পেলে আমরা আনন্দিত হই। আজ আপনাদের প্রাণীকূল সম্পর্কে এমনই মজাদার কিছু তথ্য দেয়া হলঃ
১) এক ধরণের জেলিফিশ রয়েছে যাদেরকে বলা হয় সাগরের “অমর” জীব। এরা খুব সহজে এবং চমৎকারভাবে মৃত্যুকে ধোঁকা দিতে পারে। ব্যপারটি কি আসলেই তাই?
জেলিফিশ নিজেদের মাঝে এক ধরণের “রিপ্রোডিউসিং” ব্যবস্থা তৈরি করে নেয় যার ফলে তারা তাদের শরীরের কোন অঙ্গ যদি ভঙ্গুর বা ক্ষয়ে যায়, তাহলে সে খুব সহজেই তা নতুনভাবে তৈরি করতে পারে।
২) অক্টোপাসের হৃৎপিণ্ড তিনটি।

৩) প্রজাপতি তাদের পায়ের সাহায্যে কোন কিছুর স্বাদ গ্রহণ করতে পারে।
৪) এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, হাঙর প্রতি বছর দশ জনেরও কম মানুষের প্রাণ হরণ করে। কিন্তু মানুষ প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষেরও অধিক হাঙর শিকার করে।
৫) বন্য ডলফিন নিজেদেরকে একে অপরের নাম ধরে সম্বোধন করে। কিন্তু তাই বলে তারা মানুষের ভাষায় কথা বলে, তা যেন আবার ভেবে বসবেন না। তাদের নিজেদের ভাষা রয়েছে।
৬) হাম্পব্যাক তিমি “সোনার” বা এক ধরণের সাঙ্কেতিক গান ব্যবহার করে নিজেদের সাথে যোগাযোগ করে।

৭) একটি ঘোড়া অপর একটি ঘোড়ার সাথে যোগাযোগ করে মুখভঙ্গির মাধ্যমে।
৮) হাতিদের মাঝে নিজেদের মাঝে যোগাযোগ করবার জন্য সাঙ্কেতিক ভাষা রয়েছে। মজার ব্যপার হচ্ছে, তারা যখন জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায় এবং আশেপাশে মানুষের আনাগোনার আভাস পায়, তখন তারা “মানুষ” নামক একটি সাঙ্কেতিক ভাষার মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে।
উল্লেখ্য যে, প্রতি বছর আফ্রিকা মহাদেশে পোচারদের কারণে প্রায় ২০০০০০ এরও অধিক হাতি নির্বিচারে হত্যা করা হয়ে থাকে।
৯) পেঁচাদের চোখে কোন অক্ষিগোলক নেই। তাদের চোখে এক ধরণের টিউব রয়েছে।
১০) পেঙ্গুইনদের মাঝে দুটি মজাদার প্রজাতি রয়েছে। তারা হচ্ছে, জেন্টু ও অ্যাডেলি। এদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তারা মেয়ে পেঙ্গুইনদের ভালোবাসার আমন্ত্রণ জানায় ছোট ছোট নুড়ি পাথর “উপহার” দেবার মাধ্যমে।
সূত্রঃ Mnn.com