ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রতিভাধর এবং বিখ্যাত বিজ্ঞানী হিসেবে তার নাম একদম প্রথম সারির দিকে। তিনিই সর্বপ্রথম বলেন যে উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে। রেডিওর আবিষ্কারক হিসেবে আমরা আজ অনেকেই মার্কনীর নাম জানি। কিন্তু আপনার জানা আছে কি, মার্কনীর আগেই স্যার জগদীশ রেডিও আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন? ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর জন্ম নেয়া এই অসামান্য বিজ্ঞানীর কিছু তথ্য নিয়েই আজকের এই আয়োজনঃ
১) স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর জন্মস্থান আজকের ময়মনসিংহে।
২) আপনার জানা আছে কি, বিজ্ঞানী হলেও বাংলা সাহিত্যেও তার অবদান রয়েছে। বিশেষ করে তিনি বাংলা সায়েন্স ফিকশন গল্প লিখেছেন।
৩) পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে তার অবদান অসামান্য। যদিও আমরা তাকে একজন উদ্ভিদবিদ পরিচয়েই বেশি জানি।
৪) ১৮৯৫ সালে তিনি তারবিহীন টেলিগ্রাফি আবিষ্কার করেন কিন্তু দুঃখের ব্যপার হচ্ছে, মার্কনী এবং তিনি একইসাথে এই বিষয়ে কাজ করেন। স্যার জগদীশ মার্কনীর আগেই তার কাজ সমাপ্ত করেন কিন্তু তিনি তার কাজের প্যাটেন্ট নিতে দেরি করায় আজ আমরা রেডিওর আবিষ্কারক হিসেবে মার্কনীর নাম জানি।
৫) আজকের দিনে স্যার জগদীশচন্দ্র বসুকে তারবিহীন যোগাযোগের জনক বলা হয়।
৬) জগদীশচন্দ্র বসুর বাবা ভগবানচন্দ্র বসু ছেলেকে পাশ্চাত্য শিক্ষায় মানুষ করতে চান নি। তিনি চেয়েছিলেন তার ছেলে যেন বাঙালির জন্য অভূতপূর্ব অবদান রাখে।
৭) ১৯২০ সালে স্যার জগদীশচন্দ্র বসু রয়্যাল একাডেমীর ‘ফেলো’ হিসেবে নির্বাচিত হন।
সূত্রঃ Factslegend.org