বিজ্ঞান জাদুঘর বলতে মূলত বোঝানো হয়ে থাকে এমন একটি জাদুঘর যেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার নানা নিদর্শন রয়েছে এবং প্রযুক্তি ও ইতিহাসের নানা বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। অনেক বিজ্ঞান জাদুঘরে রয়েছে মাল্টিমিডিয়া ডিসপ্লে রয়েছে। বাচ্চাদের এগুলো নানাভাবে আকৃষ্ট করে থাকে এবং মননে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ হয়ে থাকে এই জাদুঘর। প্রতি বছর বিশ্বের নানা দেশ থেকে পর্যটকেরা এসে এই জাদুঘরগুলোয় ভ্রমণ করে যান।
আজ তেমনই কিছু পৃথিবী বিখ্যাত জাদুঘর নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবেঃ
১) ন্যাচারাল হিস্টোরি মিউজিয়াম, লন্ডন, ইউনাইটেড কিংডমঃ

ছবি সূত্রঃ গুগল
এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৮৮১ সালে। প্রতি বছর প্রায় ৫ মিলিয়ন দর্শনার্থী লন্ডনে অবস্থিত এই জাদুঘরে আসেন। এই জাদুঘরের সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় হচ্ছে এখানে অনেক মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য ডাইনোসরের ফসিল রয়েছে। নানা ধরণের জীবজন্তু, খনিজ, মানুষের ইতিহাস ইত্যাদি সম্পর্কে নানা তথ্য ও বিস্ময়ের সমাহার রয়েছে এই জাদুঘরে।
২) ডয়েচে মিউজিয়াম, মিউনিখ, জার্মানীঃ

ছবি সূত্রঃ গুগল
ডয়েচে মিউজিয়াম হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ জাদুঘর। ইজার নদীর ওপর একটি দ্বীপে এই জাদুঘরটি বিজ্ঞানের ৫০টি ক্ষেত্রে প্রায় ২৮০০০ বিষয় নিয়ে প্রদর্শনী করে থাকে। স্পেনের আলতামিরা গুহায় যে চিত্রকর্ম পাওয়া গিয়েছিল তা এই জাদুঘরে প্রদর্শিত হয়।
৩) একাডেমী অব ন্যাচারাল সাইন্স, ফিলাডেলফিয়া, ইউনাইটেড স্টেটসঃ

ছবি সূত্রঃ গুগল
১৮১২ সালে এই জাদুঘরটি সর্বপ্রথম স্থাপিত হয়। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বিষয়ক জাদুঘর। এই জাদুঘরে প্রায় ১৭ মিলিয়ন প্রদর্শনীযোগ্য নমুনা রয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ৪৩ ফিট দীর্ঘ টি-রেক্সের একটি কঙ্কাল।
৪) ইউনিভার্সেয়াম, গোথেনবার্গ, সুইডেনঃ

ছবি সূত্রঃ গুগল
গোথেনবার্গ একটি মজার জাদুঘর। বলা হয়ে থাকে যে, এই জাদুঘরে আপনি প্রবেশ করলে এক নিমিষেই পুরো পৃথিবীটা দেখে ফেলতে পারবেন। পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য কিংবা বাচ্চাদের নিয়ে আনন্দ ভ্রমণের জন্য ইউনিভার্সেয়াম হতে পারে একটি আদর্শ স্থান। এখানে একটি তে-তলবিশিষ্ট রেইন ফরেস্ট রয়েছে যেখানে সত্যিকারের জীবজন্তু ঘুরে বেড়ায়।
৫) হং কং স্পেস মিউজিয়াম, হং কংঃ

ছবি সূত্রঃ গুগল
যদি আপনি হং কং যান কখনো, তবে অবশ্যই এই স্পেস মিউজিয়ামটি দেখে আসবেন। এই মিউজিয়ামটি হং কং এর সেরা একটি ল্যান্ডমার্ক হিসেবে গড়ে উঠেছে এবং বৃত্তাকার এই জাদুঘরের ভেতরে হাঁটলে আপনার মাঝে এমন একটি অনুভূতি তৈরি হবে যেন আপনি চাঁদে হাঁটছেন।
সূত্রঃ ১০মোস্টটুডে.কম