বেশ কিছু দিন থেকে আমি আপনাদের সাথে পুরাতন দিনের হার্ডওয়্যার নিয়ে কথা বলে আসছি। এর প্রেক্ষিতে পুরানো দিনের বেশ কিছু কম্পিউটার, র্যাম, পিডিএ ইত্যাদি শেয়ার করেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু পুরাতন দিনের স্টোরেজ ডিস্ক এর ছবি শেয়ার করব।
আই-ওমেগা…… নাম শুনেই কি চমকে গেলেন নাকি ??? আচ্ছা যিপ ড্রাইভ এর কথাত শুনেছেন নাকি ?? যিপ, জ়েয, ক্লিক কিন্তু আই-ওমেগারই তিনটি প্রোডাক্ট। আসুন এদের ছবি দেখি;
প্রথমটি (বাম দিক থেকে) আই- ওমেগা ক্লিক ৪০। ১৯৯০ সালে তৈরি এই ডিস্ক টির ধারন ক্ষমতা ছিল ৪০ মেগাবাইট।
এর পরেই আছে, আমাদের খুবি পরিচিত, যিপ ১০০।১৯৯৪ সালে তৈরি এই যিপ ১০০ এর ধরন ক্ষমতা ১০০ মেগাবাইট হলেও এর পরবর্তি ডিস্ক গুল কিন্তু ২৫০ এবং ৭৫০ মেগাবাইটেও পাওয়া যেত।
একেবারে ডান দিকে আছে, জ়েয ড্রদিস্ক ১৯৯৫ সালে তৈরি এই ডিস্ক টির ধরন ক্ষমতা ১ গিগাবাইট। যদিও জ়েয এর একটি ভার্সন ৫৪০ মেগাবাইটের থাকলেও তা বাজারে কখনই আসেনি।
এবার আসছি ফ্লপি নিয়ে।
প্রথমেই (বাম দিক থেকে) যে ফ্লপিটি রাখা আছে, আশা করি বলে দিতে হবে না যে এটা আমাদের অতি পরিচিত ১৯৮৭ সালে বের হওয়া সাড়ে ৩ ইঞ্চি ফ্লুপি ডিস্ক। যার ধারন ক্ষমতা ১.৪৪ মেগাবাইট। এখন কার দিনের ছোট বাচ্চারা দেখলে হয়তবা চিনবেই না।
এর পরেই রাখা আছে, ৩ ইঞ্চি ফ্লপি ডিস্ক। মজার কথা হচ্ছে, ১৯৮২ সালে বের হওয়া এই ডিস্ক এর দুই দিকেই ডাটা রাখা যেত। একটি সাইড এ, এবং অপর টি সাইড বি। প্রতি সাইডে ৩৬০ কিলোবাইট করে মোট ৭২০ কিলোবাইট ছিল এর ধারন ক্ষমতা।
কথায় আছে, দাত থাকতে কেউ দাতের মর্ম বুঝে না। আমার বেলাতেও একি ঘটনা। আমি তখন ক্লাস সিক্স এ পড়ি। আমার এক কাকা আমাকে প্রায় ৬০ টা সোয়া পাচ ইঞ্চি ফ্লপি দিয়ে ছিলেন, কিন্তু আজ আমার সংগ্রহে আছে মাত্র একটি। যাই হোক, ১৯৭৬ সালে বাজারে আসা এই সোয়া পাঁচ ইঞ্চির ফ্লপি ডিস্ক গুলো, ১১০ কিলোবাইট ধারন ক্ষমতার পর্যন্ত পাওয়া যেত।
১৯৮৫ সালের দিকে বাজারে আসা এই ধরনের ডিস্ক গুল দেখতে সোয়া পাচ ইঞ্চি র ফ্লপির সমান হলেও এর ভেতরে কোন প্রকার ম্যাগ্নেটিক এলিমেন্ট ছিল না। এর পরিবর্তে ছিল অপ্টিক্যাল ডিস্ক। ছবিতে দেখা ম্যাক্সটরের এই অপ্টিক্যাল ডিস্কটির ধারন ক্ষমতা ৭৮৬ মেগাবাইট।
এই ছবিটা সনি র ম্যাগ্নিটো অপ্টিক্যাল ডিস্ক এর, যার ধারন ক্ষমতা ২৩০ মেগাবাইট। এর ডিস্কটিকে খুব কাছের থেকে দেখতে দেখায়,
সব শেষে আপনাদের সামনে নিয়ে আশছি, ভার্বাটিমের একটি টেপ ডিস্ক। ১০০০ ফুট টেপ, মাত্র ৫০০ মেগাবাইট (কম্প্রেস করে ১ গিগাবাইট) ডাটা সংরক্ষন করতে পারত এই টেপ ডিস্ক টিতে।
পোস্ট টি আপনাদের কেমন লাগল আশা করি জানাতে ভুলবেন না …
বিঃদ্রঃ এখানে শুধু মাত্র আমার সংগ্রহে থাকা পুরাতন দিনের কিছু ডিস্ক এর ছবি এবং বর্ননা দেয়া হয়েছে।
খুবই শুন্দর হয়েছে। অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনি যা দেখালেন তার মধ্যে মনে হয় ১ টা কি ২ টা আমার পরিচিত। সুতরাং শুধু এ যুগের পোলাপানরা না যুবক যুবতীদেরও চিনতে পারবেনা এগুলো।
নিচের লাইনটি সংশোধন করলে ভালো হবে। পরতে গিয়ে হটাত করে উচ্চস্বরে হেসে উঠেছিলাম। 😉
“যাই হোক, ১৯৭৬ সালে বাজারে আসা এই সোয়া পাদ ইঞ্চির ফ্লপি ডিস্ক গুল, ১১০ কিলোবাইট ধারন ক্ষমতার পর্যন্ত পাওয়া যেত।”
হা হা হা ……আপনি উচ্চস্বরে হেসে উঠেছিলেন, আর আমিতো গড়া গড়ি খাচ্ছি …।
এডমিনের সাহায্য চাচ্ছি …
এডমিন কে ধন্যবাদ ঠিক করে দেবার জন্য … 😀
কি জিনিস হেঁ।
একেই বলে- রাজা থেকে পথের ফকির।
মরুভূমির জলদস্যু ভাই, কম্পিউটার এর পৃথিবী তে আপনার কথাটা ১০০ ভাগ সত্য…
অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ। 🙂 প্রযুক্তি কত এগিয়েছে দেখেন!
আপনাকেও ধন্যবাদ ।
খুব সুনদর পোসট।