সুপারহিরোদের নিয়ে আমাদের সবসময়ই একটা আগ্রহ উত্তেজনা কাজ করে।তাদের অতিমানবীয় সব কাজ কারবার আমাদের করে শিহরিত।ইশ! আমারও যদি এমন কোন অতিমানবীয় ক্ষমতা থাকত? এমনটা মাঝে মাঝে হয়ত মনেই হতে পারে আপনার।
এইতো কিছুদিন আগেই মারভেল স্টুডিও থেকে মুক্তি পেয়েছিল অ্যান্ট-ম্যান চলচ্চিত্রটি।দর্শকপ্রিয়তাও পেয়েছে বেশ ছবিটি। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন ছবির নায়কের কেমন ধরনের ক্ষমতা থাকতে পারে।ঠিকই ধরেছেন, নিমিষেই নায়ক তার শরীরকে অতি ক্ষুদ্র করে ফেলতে পারে বিশেষ এক স্যুটের সাহায্যে। কিন্তু এমন কি আদৌ সম্ভব?
কোয়ান্টাম পদার্থবিদ ডক্টর স্পাইরোস মিকালাকিসের মতে এর মাঝেও কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যপার নিয়ে এসেছেন।তিনি অ্যান্ট ম্যান বা পিঁপড়ে মানব ছবিটির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন।
মিকালাকিস বর্তমানে কাজ করছেন ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে (ক্যালটেক)। তিনি বলেছেন যে তার মাথায় এই সম্ভাবনার কথা এসেছে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার সূত্র ধরে যেখানে কোন বস্তুকে অতি ক্ষুদ্র পরমাণুতে রূপান্তরিত করা যায়।
“যদিও স্ট্যান লি এবং তার সহকারীরা যে চিন্তা করে এই চরিত্রটি সৃষ্টি করেছিলেন, তা যথেষ্টই অবৈজ্ঞানিক ছিল।তার চাইতে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার সাহায্যে একে আরও বৈজ্ঞানিক একটি ব্যাখা দেয়া যেতে পারে”, বিবিসি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটা বলেন মিকালাকিস।
মিকালাকিস এর ব্যাখায় বলেছেন যে, সাধারণত একটি পিঁপড়ে তার শরীরের যতটুকু ভর, তার চাইতে ৫০ গুণ ভর বহন করতে সক্ষম। একে তিনি গ্যালিলিওর “বর্গাকার কিউব সূত্র” এর সাহায্যে ব্যাখা করেছেন।তিনি বলেন, এই সূত্রের সাহায্যে যদি কোন বস্তুর আকার কমানো হয়ে থাকে, তাহলে তার আয়তন অনেকতাই কমে যাবে। কিন্তু তার ঘনত্ব এবং শক্তি সে তুলনায় খুবই কম কমবে। অর্থাৎ, আগের তুলনায় ঐ বস্তুটি শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
কিন্তু তাই বলে খুশি হয়ে ওঠার কিছু নেই। মিকালাকিস বলেছেন চলচ্চিত্রে যেমনটি দেখান হয়েছে, বাস্তবে আসলে তেমন কিছু ঘটে না। তিনি বলেন, “আমরা এখন যেমন আছি তাই আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু আমাদের শরীরের আকার যদি একটি পিঁপড়ের মত হয়ে যায়, তাহলে আমরা কখনোই একজন মানুষের মত শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারব না। এটা সম্ভবও না।”
এ জন্যই চলচ্চিত্রের সুপার হিরোরা বাস্তবে পরিণত হয় না!