উন্নত দেশগুলোতে বেশ কিছু সংগঠনের উদ্যোগে নগ্ন হয়ে মানুষজন পরিবেশ সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে থাকে।
যেমন প্রাণী অধিকার সংরক্ষণ কর্মীদের উদ্যোগে লন্ডনে প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ নগ্ন শরীরে কৃত্রিম রক্ত মেখে সচেতনতা সৃষ্টি করে থাকেন। পশুদের দেহ ও মানুষের মধ্যে পার্থক্য না করতে ও প্রাণীর প্রতি সমবেদনা জানাতে নগ্ন হয়ে এ ধরনের সচেতনামূলক আয়োজন করা হয়ে থাকে।
অথবা গাড়ি সংস্কৃতি ও তেল নির্ভরতার বিরুদ্ধে সচেনতা গড়ে তুলতে শতাধিক নারী-পুরুষরা সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে কিংবা নগ্ন শরীরে রঙ লাগিয়ে সাইকেল ভ্রমণ করে থাকেন।
পরিবেশ সচেতনা তৈরি করতে নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ জানানোর এ ধরনের নানা উদ্যোগ বেশ সাড়া ফেলছে। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক নগ্নতা বিরোধী।
সুতরাং এসব পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীদের দৃষ্টিতে নগ্নতা সচেতনতার প্রতীক হলেও, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক ক্ষেত্রে তা অশ্লীলতা। আর তাই ফেসবুক কর্তৃপক্ষের শাস্তির সম্মুখীন হতে হলো এবার। সম্প্রতি পরিবেশ-রক্ষার বার্তা দিতে আয়োজিত ‘সি অব হাল’ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজনের পোস্ট করা ছবি মুছে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
গ্রিনল্যান্ড এবং আন্টার্কটিকায় বরফের স্তর অনেকাংশে গলে যাওয়ায় সমুদ্রের পানির স্তর বাড়ছে। ফলে ডুবে যেতে পারে বিশ্বের একাধিক শহর। পৃথিবীতে বিশ্ব উষ্ণায়নের এই প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি লক্ষ্যে সম্প্রতি ব্রিটেনের হাল শহরের প্রায় ৩ হাজার নারী-পুরুষ অংশ নিয়েছিলেন শিল্পী স্পেনসার টিউনিকের ডাকা বিক্ষোভ প্রদর্শনীতে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই ছিলেন নগ্ন। তাদের অনাবৃত শরীরে কেবল ছিল সমুদ্রের নীল রঙ।
এই সমাবেশের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন কেউ কেউ। কিন্তু বেঁকে বসে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। কয়েকজনের পোস্ট মুছে দেওয়ার ঘটনায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষের আচরণে বিতর্ক ঝড় শুরু হয়েছে। তবে ফেসবুক তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা নগ্নতা প্রদর্শনের বিরোধী। এই কারণে কিছু ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়। যে সব কনটেন্ট যৌনতা, হিংসা ছড়ায় বা তাতে প্ররোচনা দেয়, সেসব ছবিও মুছে ফেলা হয়।’