খবরটি পড়ার পরে আমিও একটু অবাক হয়েছি। সাইয়্যান্যজিন একটি ডেভেলপার কোম্পানি যারা অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ ডেভেলপ নিয়ে কাজ করে। কিছু দিন আগে এই কোম্পানির প্রধান এমনি একটি ঘোষণা দিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। তাঁরা মনে করে গুগলের থেকে তাঁরা আরও ভালো করে অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফরম নিয়ে কাজ করতে পারবে। এখানে উল্লেখ যে মাইক্রোসফটও কিন্তু বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে বেশ আগ্রহী। এই কথাটির প্রমান আমরা কিছুদিন আগেই দেখেছি যখন মাইক্রোসফট নোকিয়া ব্র্যান্ডের আদলে “নোকিয়া এক্স” স্মার্টফোন টি বাজারে ছাড়ে।
বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড নির্ভর মোবাইল ফোন গুলো বাজারে খুব ভালো অবস্থান ধরে রেখেছে যেখানে উইন্ডোজ ব্যবহার করে মাত্র ৩%। এর প্রধান কারন মনে করে করা হয়, গুগলে প্লে-ষ্টোরের হাজারো অ্যাপ এবং অ্যান্ড্রয়েড অসাধারণ ফিচার গুলো। অ্যান্ড্রয়েড মার্কেটপ্লেসে প্রচুর পরিমানে ফ্রী অ্যাপ আছে। ব্যবহার কারীরা খুব সহজে ওয়ানক্লিকের মাধ্যমে তার পচ্ছন্দের অ্যাপ টি ডাউনলোড করতে পারছে। সাথে আছে প্রচুর কাস্টমাইজেশনের শুজক।
যেসব প্রতিষ্ঠান বা অ্যাপ ডেভেলপার অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কাজ করে তাঁরা বর্তমানে এটির বিকল্প কিছু ভাবছে না। যার ফলে উইন্ডোজ বা অন্যান্য অ্যাপ স্টোরে খুব বেশী অ্যাপ আসছে না। আর তাই সময়ের সাথে পাল্লা দিতে এবং বাজার ধরে রাখতে বর্তমানে মাইক্রোসফটও চাচ্ছে যেন, উইন্ডোজ নির্ভর লুমিয়া ফোনে সব ধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সাপোর্ট করে। এই উদ্যোগ হয়তো তাঁরই একটি কারন।
সাইয়্যান্যজিন ইতিমধ্যে তাদের ইউজার প্রায় ১০০+ মিলিয়ন পার করেছে। এবং তাঁরা যথেষ্টই আশবাদি নতুন এই প্রোজেক্ট নিয়ে। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার বাস্তবে কি হয় সেটা দেখার জন্য।
প্রযুক্তি বোদ্ধারা অনেক আগে থেকেই বলে এসেছিল, নোকিয়া তথা মাইক্রোসফট অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কাজ করলো না এটি তাদের মারাত্মক একটি ভুল সিধান্ত ছিল। তবে অন্যান্য কোম্পানি যেমন, সামসাং, সনি, বা চায়না নির্ভর প্রতিষ্ঠান গুলো এটির শুজক খুব ভালভাবেই নিয়েছে। নোকিয়ার মতো একটি নামকরা প্রতিযোগী তাদের পথ থেকে সরে জাওয়ায় তাদের বেশ উপকারি হয়েছে।
এখানে আরেকটি ভাবার বিষয় হল, ধরে নিলাম “মাইক্রোসফট” সাইয়্যান্যজিনের সাথে হয়ে তাদের প্রোজেক্টে ইনভেস্ট করলো এবং তাঁরা খুবই ভালো ভাবে এগিয়ে গেলো। এটা কি মাইক্রোসফট খুব বেশী লাভবান হবে? আমি মনে করি হবে না। কারন গুগল প্লে-স্টোর তো আর মাইক্রোসফট নিয়ে নিতে পারবে না। এরা যতই ভালো করুন ইউজারদের তো অ্যাপ ডাউনলোড করতে হলে সেই গুগলের কাছি যেতে হবে। হ্যাঁ এমন হতে পারে যে থার্ড পার্টি প্লে-ষ্টোরের মাধ্যমে তাঁরা তাদের সার্ভিস দিবে। কিন্তু তারপরেও গুগল মামাকে তো আর বিড করা যাবে না।
আরেকটা বিষয় যেমন উইন্ডোজ নির্ভর ফোনের জন্য মাইক্রোসফট অনেক ধরনের সেবা দিয়ে রেখেছে তো তাঁরা যদি এখন অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কাজ শুরু করে তাহলে আলটিমেটলি দেখা যাবে তাদের অন্য প্রোডাক্ট গুলা বিক্রি কমে যাবে বা বন্ধ হয়ে যাবে।
যায় হোক এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, আপনারা বা বুদ্ধিজীবীরা আমার থেকে আরও ভালো বলতে পারবেন। এখন দেখা যাক সময় কি বলে।
সূত্রঃ WSJ