বিভিন্ন অফিসে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগটি একটি নতুন সংযোজন। অনেক প্রতিষ্ঠানই ৪০-৫০ বছর ধরে সফলতার সাথে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়াই। আর নতুন এ বিভাগটিতে নতুন সব আয়োজনে কর্ম পরিবেশে বেশ কিছু নতুনত্ব আনতে হয়। আর এ বেপারে কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু সুবিধা অসুবিধা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করবো। আপনি যদি কোন ছোট প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়ে থাকেন বা চাকরি করে থাকেন তাহলে বেপারটা একরকম হবে আর অনেক বড় একটি প্রতিষ্ঠান (যেখানে ৩০০ এর চেয়ে আধিক কর্মচারী কাজ করে) তাহলে বেপারটা একটু ভিন্নরকম হতে পারে। বাংলাদেশে অনেক তরুন মুখ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তাদের অবদান রেখে চলছে। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ তথ্য প্রযুক্তি কম বয়সী অল্প কয়েক জন তরুনের হাতে চলে-ভাবতে ভাল লাগে। বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ওয়েব সাইটও চলছে এই তারুন্যের হাত দিয়ে।
যেটা বলতেছিলাম, কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু অসংগতি দেখা যেতে পারে যেটা মোটেই অস্বাভাবিক না। বেশ কয়েকটি ছোট বড় প্রতিষ্ঠানে অল্প কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বর্ণনা করবো। আর এর সাথে পূর্ব পরিচয় না থাকলে জেনে নিন।
১. বিভাগীয় কোন্দল
প্রতিষ্ঠানটি যত বড় হবে বিভাগীয় কোন্দল সাধারনত তত বেশি হয়। আপনি মার্কেটিং বিভাগকে অনেক সময়ই হিসাব বিভাগের সাথে ঝামেলায় জরিয়ে যেতে দেখেছি। মার্কেটিং বিভাগ মনে করে তারা টাকা আয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ আর হিসাব বিভাগ মনে করে তারা অযাচিত খরচ বেশি করছে। টেকনিক্যাল বিভাগ অনেক সময় তাদেরকেই সেরা বলে দাবি করে। সৃষ্টিশীলতা আর মার্কেটিং তো দুই মেরুর কাজ।
২. সিদ্ধান্তহীনতা
অনেকসময়ই আপনি হয়তো কোন একটি সমস্যা উত্থাপন করলেন কিন্তু তার সমাধানের সিদ্ধান্ত নাও পেতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কয়েকজন লোকের হাতে থাকায় কাজের গতি কমে যায়। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়টি নতুন বিধায় এ বেপারে প্রযুক্তি জ্ঞানশূণ্য লোক যদি সিদ্ধান্ত দাতা হয় তবে বেপারটা আরও জটিল আকার ধারণ করে।
৩. যোগসূত্রহীনতা
কোন বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে এ বিষয়টি দেখতে পাবেন। কাজের সাথে সরাসরি জরিতদের অভিজ্ঞতা থাকে বেশি কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়া বা উন্নয়নের কাজে অনেক সময় তাদের কোন মতামতই নেওয়া হয় না।
৪. বাজে লোক
কিছু লোক আনেক সময় নিয়োগ প্রাপ্ত হয় যারা উর্ধতন কর্মকর্তা বা মালিকের খুব কাছের এবং তাদের কাজ হলো আপনার কাজের খবরাখবর গোপনে অন্য মাধ্যমে প্রকাশ করা। বেশ কিছু ধরনের লোক থাকে.. এর মধ্যে কেউ কেউ হয়তো আপনার কাজের তদারকি করতে চাইবে অথচ সেই তদারকির যোগ্যতা তার নাই।
এই সব ঝামেলা থেকে নিজেকে কিভাবে মুক্ত রাখা যায় সে বেপারে আরও তথ্য নিয়ে পরের অংশটি কিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। সাথে থাকতে বিজ্ঞান প্রযুক্তির ই-মেইল সাবক্রাইব করতে পারেন।
কথাগুলো খুবই বাস্তবসম্মত। বিভাগীয় কোন্দল আর অযোগ্য লোকের সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি আসলেই খুবই খারাপ। কাজের সাথে সরাসরি জড়িতদের মুল্যায়ন করা উচিত আগে। এদেরই অভিজ্ঞতা বেশি থাকে।