ইংরেজি Digit থেকে Digital শব্দের উৎপত্তি। Digit হচ্ছে noun আর Digital হচ্ছে verb. Digit অর্থ সংখ্যা আর Digital অর্থ গণনা করা।
আগে ইলেক্ট্রোনিক্স ডিভাইসগুলিতে এনালগ পদ্ধতিতে তরঙ্গ বা সিগন্যাল কে ভেরিয়েবল ভাইস দ্বারা কমানো বাড়ানো হতো। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ১ কেজি গম, ৫০০ গ্রাম গম, ১০০ গ্রাম গম।
কম্পিউটার আবিস্কারের পরেই ডিজিটাল বিষয়টি ইলেক্ট্রোনিক্স ডিভাইসে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে গণনা করে পরিমাপ কামনো বাড়ানো হয়। উদাহরণ ১ কেজিগমে ২ হাজারটি গম থাকে, ৫০০ গ্রাম গমে ১ হাজারটি গম থাকে, ১০০ গ্রাম গমে ২০০ টি গম থাকে। এই গণনার পদ্ধতি টাই হলো ডিজিটাল।
ডিভাইসে বিদ্যুৎ এর দুইটি আধান ব্যবহৃত হয়। এর একটির নাম ইলেক্ট্রোন অপরটির নাম প্রোটন। ইলেক্ট্রোন কনাকে ডিজিটাল সিস্টেমে ”০” (শুন্য) হিসাবে গননা করে। আর প্রোটনকে “1” (এক) হিসাবে গননা করে একে বাইনারি ডিজিট (binary digit) বলে। কম্পিউটার এই দুটি ভাষা ছাড়া আর কিছু বোঝে না।
বর্তমান যুগে সকল ইলেক্ট্রোনিক্স ডিভাইসে তরঙ্গ বা সিগন্যালকে (শব্দ, ব্রাইট, কালার ইত্যাদি) গননার মাধ্যমে বাড়ানো কমানো হয়। এটাই ডিজিটাল।এটি বিট ও বাইট ,কিলোবাইট, মেঘাবাইট , টেরাবাইট প্রভৃতি পরিমাপে মাপা হয়।
পরিমাপ করে কমানো বাড়ানো কে এনালগ বলে (১ কজি গম)। আর গননা করে কমানো বাড়ানোকে ডিজিটাল বলে (২ হাজার পিস গম)। এনালগ সিস্টেমে যেহেতু কেজি হিসাবে সেখানে গমের সংখ্যা ৪/৫ টা গম কম/বেশি থাকতে পারে কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতিতে ২০০০ টি গম থাকবেই। তাহলে বুঝতে পারছেন ডিজিটাল হল নির্ভুল পরিমাপ পদ্ধতি।
এবার আসি ইমেজের image কথায়
ইমেজের (image) কথার বাংলা প্রতিশব্দ হল ছবি। যা চোখ দিয়ে দেখা যায় । যা প্রাকৃতিক বা
কাল্পনিক বিষয় বস্তুর দৃষ্টি গ্রাহ্য প্রতিরুপ।
কিন্তু আমাদের আলোচ্য বিষয় হল ডিজিটাল ইমেজ। অর্থাৎ যা কম্পিউটার বা ওই জাতীয় কোন মাধ্যমের দ্বারা কোন বস্তুর প্রতিরূপ আমার দেখেপাই তাই হল ডিজিটাল ইমেজ। কম্পিউটার অনেক গুলি ”০” ও “1” কে পরিমাপ ও গণনা করে এক একটি পিক্সেল(Pixel) তৈরী করে। তারপর ওই পিক্সেলস (Pixels) গুলি একত্রিত করে যে প্রতিরূপ সৃষ্টি করে তাই ডিজিটাল ইমেজ।
ইমেজকে পিক্সেল এর দিক থেকে দুভাগে ভাগ করে হয়।
ভেক্টর ইমেজ (Vector Image )
ভেক্টর ইমেজ Lines এবং Curves দিয়ে তৈরী হব। যাতে Mathematical অবজেক্ট থাকে । চাকা হল ভেক্টর ইমেজের উদাহরণ। যার গাণিতিক (Mathematical ) সংজ্ঞা হল নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধে তৈরী বৃত্ত তৈরীহয়। এটিকে মুভ, রিসাইজ, রঙের পরিবর্তন করলেও গ্রাফিকের কোয়ালিটি নষ্ট হবে না। ভেক্টর গ্রাফিক রেজুলেশন নির্ভর। এডোবি ইলাষ্ট্রেটর ভেক্টর ইমেজ নিয়ে কাজ করে।এতে ভেক্টর ইমেজকে রাষ্টার ইমেজে পরিণত করা যায়। ভেক্টর ইমেজ সফ্টওয়ারে মাধ্যমে নিদিষ্ট পোগ্রামিং করে গঠন করা যায়।
রাষ্টার ইমেজ (Raster Image or Bitmap Image )
ছোট ছোট বর্গ যা পিক্সেলস(Pixels) নামে পরিচিত তা দিয়ে তৈরী ইমেজকে রাষ্টার বা বিটম্যাপ ইমেজ বলা হয়। এই ধরনের ইমেজের কোণা Smooth হয় না। এই ইমেজকে বড় করেলে এর মৌলিক উপাদান পিক্সেল গুলি দেখা যায়। এডোবি ফটোশপ, পেইন্টার, পেইন্টব্রাশ, ম্যাকপেইন্ট ইত্যাদি প্রোগ্রাম বিটম্যাপ বা রাষ্টার ইমেজ নির্ভর। এটি ইমেজ সেন্সারের মাধ্যমেগঠন করা যায়। যা ডিজিটাল ক্যমেরার প্রধান আংশ।
ইমেজ নিয়ে পরে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
আমরা যেহেতু ডিজিটাল ইমেজ ফটোগ্রাফি নিয়ে আলোচনা করছি তাই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ইমেজেরপিক্সেল গুলি কে তৈরী করে? তাই এবার অন্য দিয়ে না গিয়ে সরাসরি ফটোগ্রাফির দিকে প্রবেশ করি। যেহেতু আমাদের আলোচ্য বিষয় ডিজিটাল ফটোগ্রাফি তাই আলোকে পিক্সেলে পরিণত করার যন্ত্রটির সম্বন্ধে জানতে হবে।
যে যন্ত্রের সাহায্য আলো লেন্সের মধ্যমে সেন্সারে আঘাতকরে এবং আলোর তীব্রতা ও রঙ অনুযায়ী সেন্সারে ফটোডায়োট গুলি পরিমাপ করে ও পরিমান আনুযায়ি ইলেকট্রনিক আধানে পরিণত হয় ও প্রসেসের মাধ্যমে সঞ্চিত হয় পিক্সেল আকারে তাই হল ডিজিটাল ক্যমেরা। এটি মোবাইল ক্যমেরা , কম্পেক্ট ক্যমেরা ও ডিজিটাল ক্যমেরা যেকোন হতে পারে যাতে ইলেক্টনিকে সেন্সার আছে।
সেন্সার নিয়ে পরে আলোচনা করা হবে।
এই ডিজিটাল ক্যমেরা নামক যন্ত্রটি নিয়ে যারা ছবি গ্রহন করে থাকেন এক কথায় তারা হলেন ফটোগ্রাফার ,আর তাদের কাজ করার কৌশল টি হল ফটোগ্রাফি। আর আমার আলোচ্য বিষয় হল ফটোগ্রাফি।
লেখাটি আমার ব্লকে প্রথম প্রকাশিত
আমার ফেসবুক পেজ (CLICK HERE)
আমার ওয়েব পেজ (এখানে)