জাস্ট সেটিং আপ মাই টুইটার’। ২০০৬ সালের ২১ মার্চ জ্যাক ডর্সির সে লেখাটাই ছিল খুদে ব্লগসাইট টুইটারের প্রথম বার্তা টুইট। আজ টুইটারের এক দশক পূর্ণ হলো। ছোট্ট সেই প্রতিষ্ঠান আজ অন্যতম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে।
ব্যবহারকারীর পরিসংখ্যান
বছরের দুই প্রান্তিক ধরে টুইটারের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩২ কোটিতে স্থির হয়ে আছে। এই ব্যবহারকারীর ৭৯.৪ শতাংশ থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে। তবে প্রধান নির্বাহী ডর্সির মতে, লগ–ইন না করেও মাসে অন্তত ৫০ কোটি মানুষ টুইটারের ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারেন। এই ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কীভাবে আয় করা যায় সে চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিদ্বন্দ্বী
ফেসবুক (১৫০ কোটি ব্যবহারকারী) এবং ইনস্টাগ্রামের (৪০ কোটি) পরেই তৃতীয় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটার। বড় পরিসরে ভেবে দেখলে ভিডিও দেখার ওয়েবসাইট ইউটিউব (১০০ কোটি), তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (৯০ কোটি), চীন-ভিত্তিক কিউকিউ (৮৬ কোটি), ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার (৮০ কোটি) এবং আরেক চীনা অ্যাপ উই চ্যাট (৬৫ কোটি) টুইটারকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে।
গুগল প্লাসের দাবি, তাদের ব্যবহারকারী ৪০ কোটি। তবে বাস্তবে খুব একটা ব্যবহার করতে দেখা যায় না। অন্যদিকে চীনা ব্লগ কিউজোনে ৬৫.৩ কোটি এবং টাম্বলারে সাড়ে ৫৫ কোটি ব্যবহারকারী আছে। (সূত্র: স্ট্যাটিস্টা)
জনপ্রিয় ব্যবহারকারী
৮ কোটি ৪৭ লাখ অনুসারী নিয়ে টুইটারে সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছেন জাস্টিন বিবার (৭.৭ কোটি) এবং টেইলর সুইফট (৭.২ কোটি)। এরপরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা (৭.১ কোটি)।