বাতাসের আমরা নানা ধরণের নাম দিয়ে থাকি। লু হাওয়া, দখিনা হাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি আরো নানা কত ধরণের যে নাম রয়েছে বাতাসের! বাতাস নিয়ে রয়েছে নানা কাব্যও। তবে আজ কাব্য নিয়ে কথা হচ্ছে না। কথা হবে চিনুক উইন্ড বা চিনুক বাতাস বলতে আসলে কি বোঝায়, তা নিয়ে।
শীতের সময় রকি পর্বতমালার ওপর দিয়ে একটি পূব থেকে একটি বাতাস বয়। এই বাতাস খুবই শক্তিশালী, শুষ্ক। পরিবেশের তাপমাত্রায় দ্রুত একটি পরিবর্তন এটি নিয়ে আসতে পারে। এই বাতাসকে বলা হয় চিনুক বাতাস।
ওয়াশিংটন ও অরেগন অঞ্চলে যারা আগে বসবাস করত, তাদের বলা হয় চিনুক নেটিভ আমেরিকান। এই চিনুক নেটিভ আমেরিকানদের নামানুসারেই এই বাতাসের নামকরণ করা হয়। বিভিন্ন অঞ্চলে এর নাম বিভিন্ন ধরণের। ইউরোপে একে বলা হয় ফন উইন্ড, মধ্য এশিয়ায় এর নাম আফগানেত, দক্ষিণ আমেরিকায় এর নাম পুয়েলশে, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় এর নাম সানতা আনা উইন্ড।
চিনুক বাতাস নিজেকে তৈরি করে যখন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে এটি ধীরে ধীরে রকি পার্বত্য অঞ্চলের দিকে আসতে থাকে। পর্বতের ওপর থেকে যখন এটি নামতে থাকে, তখন সাথে করে আনে প্রচুর শৈত্যপ্রবাহ। রকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষ বলেন যে তারা বছরের এই শীতের সময়টাতে চিনুক বাতাসের ভয়ে তটস্থ থাকেন। তবে কেউ কেউ চিনুক বাতাসকে সৌভাগ্যের প্রতীক বলেও মনে করেন।
সূত্রঃ লাইভ সাইন্স