“প্রকৃতির কম্পাস” পিঁপড়েকে বলা হয়ে থাকে। এর কারণ হচ্ছে, যে কোন দিকে হাঁটার ক্ষেত্রে পিঁপড়ে খুবই পারদর্শী। তবে গবেষকেরা বলছেন যে পিঁপড়েরা তাদের পেছন দিক ফিরেও হাঁটতে পারে, যা জানায় এতোদিন তাদের ভুল ছিল।
গবেষকেরা তাদের তত্ত্বের মাধ্যমে এটি বলেছেন যে পিঁপড়েরা যে পথে হাঁটে, সেটি তারা মনে রাখতে পারে। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে এই পোকা তাদের বাড়ির দিকে উল্টোমুখে হাঁটতে পারে। তারমানে এতোদিন ধরে নেয়া হয়েছিল যে পিঁপড়ে তাদের উল্টোমুখে হাঁটে না, এই ধারণা এবার ভুল প্রমাণিত হল। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় এটি বের করেছেন যে পিঁপড়ে ভূ-খন্ড এবং আকাশের গতিবিধি দেখে তারা উল্টো দিকে হাঁটতে পারে।
ক্যাটাগ্লাইফিস ভেলোক্স নামক এক ধরণের পিঁপড়ের কলোনি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই পিঁপড়ে সাধারণত তাদের খাবার নিয়ে যাবার সময় বাড়ির দিকে সোজা পথে হেঁটে থাকে।
ক্যাটাগ্লাইফিস ভেলোক্স নামক এক ধরণের পিঁপড়ের কলোনি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই পিঁপড়ে সাধারণত তাদের খাবার নিয়ে যাবার সময় বাড়ির দিকে সোজা পথে হেঁটে থাকে।
পরীক্ষার জন্য এবার বিজ্ঞানীরা যা করলেন তা হচ্ছে একটু বড় ধরণের খাবার কণা তাদের দিলেন। পিঁপড়ে তাদের স্মরণশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এবার আকাশের গতিবিধির দিকেও খেয়াল রাখতে শুরু করল। বিজ্ঞানীরা ভাবছেন স্বাভাবিক খাবারের চাইতে একটু বেশি ওজনের খাবার বয়ে নিয়ে যাবার কারণে তাদের এই নতুন ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে তারা সম্মুখ দিকে না হেঁটে পেছন দিকেও হাঁটা শুরু করল। ফলে বিজ্ঞানীদের নানা সুবিধা হয়ে গেল নতুন এই তত্ত্ব প্রকাশ করতে।
সূত্রঃ লাইভ সাইন্স