স্কুল বাস স্কুলে পৌঁছুতে অনেক সময় দেরী করে ফেলতেই পারে। তবে স্কুল বাসের গতি যদি হয় ঘন্টায় ৫৯০ কিলোমিটার তাহলে সে আশংকা একেবারেই কম। আর এই স্কুল বাসকে অতিক্রমও করতে পারবে না রাস্তায় চলাচলকারী কোন গাড়ি। কারন এই স্কুল বাসে সাধারন ইঞ্জিন এর বদলে ব্যবহার করা হয়েছে ফাইটার জেট ইঞ্জিন।
F-4 ফ্যান্টম ফাইটার জেট বিমান থেকে নেয়া একটি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয় এই বাস এ। এটি সর্বোচ্চ ৫৯০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। আর এই গতি নিয়ন্ত্রন করতে ব্যবহার করা হয় ৩টি প্যারাশুট। বাসটি চলার সময় পেছনে প্রায় ৮০ ফুট ধীর্ঘ অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত হয় 😮 এবং ধোঁয়ায় চারপাশ ভরে যায়। গাড়ি চলাচলের রাস্তায় এই বাস নামালে পেছনের ৫-১০টি গাড়ী পুড়ে ফেলবে কয়েক মিনিটেই।
উদ্ভট এই বাসের ফুয়েল ট্যাংক ৬৮০ লিটার জ্বালানী ধারন করতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, মাত্র ৪০০ মিটার অর্থাৎ এক মাইলের চার ভাগের এক ভাগ অতিক্রম করতেই এই জ্বালানী ফুরিয়ে যাবে। বর্তমানে জ্বালানী তেলের এই দুঃসময়ে এই বাসে করে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠালে বাসের মাসিক ফী দিতে দিতেই বাবা-মা কে রাস্তায় নামতে হবে। আর ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম অথবা বুশ আংকেল যদি জানতে পারে এই বাস ৪০০ মিটার যেতেই ৬৮০ লিটার তেল শেষ করে … 😛
এই বাসটি আসলে শুধুই শো করার জন্য। হাজার হলেও এটি জেট ইঞ্জিনে চলা বাস। বাসটি শখের বসে তৈরি করেছেন পল স্টেন্ডার। বাসের বেশিরভাগ অংশই তিনি বদলে ফেলেছেন এবং হাল্কা ধাতু ব্যবহার করেছেন যেগুলো উড়োজাহাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বাসের দরজা এবং সামনের দিকের কিছু অংশ পুরানো বাসটিরই। বাসটি আমেরিকা এবং কানাডার কিছু এক্সিবিশনে প্রদর্শন করা হয়েছে। বাসটির কান্ড-কারখানা নিচের ভিডিওতে দেখতে পারেন।
বাংলাদেশে এই বাস দরকার 😀 মজার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
হা হা হা। আমার ভার্সিটিতে যাবার জন্য একটা ভালো বাস খুজছিলাম। ইমতিয়াজ ভাইকে ধন্যবাদ এমন একটি বাস এর সন্ধান দেবার জন্য। ওরে বাবা এই বাস এর পিছনে খরচ করতে গেলে তো আমি আরো ফকির হয়ে যাবো। আপাতত একটা হোভার গাড়ী বানানোর চিন্তা মাথায় ঘুরতেছে। যেটা চলবে সোলার পাওয়ার ও পানির সাহায্যে। কিন্তু সমস্যা হলো আমি বিজ্ঞানের ছাত্র না। যাই হোক একদিন হয়তো বানিয়ে ফেলবো।
হোভার গাড়িটা আবার কি ভাই? হাইব্রীড গাড়ি সম্পর্কে জানি
হোভার গাড়ীটা হলো ভাষমান মানে উড়তে পারে।
😮
এইটাতে উঠলে আমি কী জীবিত থাকবো?!! 😮
মৃত না হলেও জীবিত থাকার স্কোপ খুব কম 😉