বর্তমানে রাস্তায় যে গাড়িগুলো চলছে, সেগুলোর ইঞ্জিন প্রায় একশ বছর আগের একটি আবিস্কার। গত পঞ্চাশ বছরে কম্পিউটার এবং মোবাইল ডিভাইসের উপর যে পরিমান গবেষনা করা হয়েছে, তার অর্ধেকও হয়নি অটোমোবাইল শিল্পে। আর তাই এখনো আমরা গাড়িতে ব্যবহার করছি শত বছর আগের আবিস্কৃত ইঞ্জিন। বিভিন্ন গাড়ি নির্মাতা উন্নতমানের সব গাড়ি তৈরি করলেও, জ্বালানী সাশ্রয়ী ইঞ্জিন তৈরির ব্যাপারে সফল হতে পারেনি কেউ।
তবে এবার বোধহয় বিশ্ববাসী সফল্যের আলো দেখতে যাচ্ছে। ‘মিশিগান স্টেইট ইউনিভার্সিটি’ এর গবেষকরা একটি প্রোটোটাইপ গ্যাসোলিন ইঞ্জিন তৈরি করেছে। তবে এটি কোন যেন তেন ইঞ্জিন নয়। এতে ট্রান্সমিশন, পিস্টন, ভালব, কুলিং সিস্টেম ইত্যাদি অনেক কিছুই প্রয়োজন হবে না! আর এর সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হবে জ্বালানি সাশ্রয়। মোট জ্বালানীর ৬০ ভাগ এর বেশি এটি শক্তিতে পরিনত করবে, যেখানে সাধারন গাড়ির ইঞ্জিন করে থাকে মাত্র ১৫ থেকে ২০ ভাগ। অর্থাৎ বর্তমান ইঞ্জিনগুলো থেকে এটি ৩.৫ ভাগ বেশি জ্বালানী সাশ্রয়ী, যা নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তরকারী ব্যাপার। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক ইঞ্জিনটির গঠন এবং কার্যপ্রক্রিয়া বর্ননা দিচ্ছেন নিচের ভিডিওতেঃ
ইঞ্জিনটি শুধু জ্বালানী সাশ্রয়ী হবে না, বরং এর ওজন এবং উৎপাদন খরচ হবে অনেক কম। যুগান্তকারী এই ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি করা গাড়ি এই বছরের শেষ দিকেই বাজারে আনার আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন সংশ্লিস্টরা। আর এটি বাজারে এলে জ্বালানী খরচও সবার হাতের নাগালে এসে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।