গান শুনতে ভালোবাসে না, এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। গানে মানুষ খুঁজে পায় আনন্দ, গানে মানুষ খুঁজে পায় অনুপ্রেরণা। কিন্তু গানের মাঝে এমন কি রয়েছে যার মাধ্যমে মানুষ এত আনন্দ খুঁজে পায়? কানাডার একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য গ্রহণ কিংবা যৌনকর্মের মত আনন্দ যেমনভাবে খুঁজে পাওয়া যায়, গান শোনার মাধ্যমে ঠিক তেমনটিই অনুভূত হতে পারে মানুষের মাঝে।
যাদের নিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে, তাদেরকে এক ধরণের রাসায়নিক যৌগ ইনজেক্ট করা হয়। এই রাসায়নিক যৌগটি “আনন্দ কেন্দ্র” বা যেসকল উদ্দীপনায় মানুষ সাড়া দিয়ে থাকে তার কেন্দ্রীয় স্থানটিকে নিশ্চল করে দেয়। এর ফলে গান শুনে তারা আর কোনভাবে সাড়া দিতে পারে না। সায়েন্টিফিক রিপোর্ট নামের একটি জার্নালে এটি প্রকাশিত হয়।

“আনন্দ” নামক যে অনুভূতিটি রয়েছে, তা আমাদের মস্তিষ্কে দুইটি উপায়ে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। প্রথমটি হচ্ছে, অ্যান্টিসিপেটরি বা কোন কিছু কামনা করার উপায়। এটি চালিত হয়ে থাকে নিউরোট্র্যান্সমিটার ডোপামিনের সাহায্যে। অপর উপায়টি হচ্ছে, “আসক্তি”, যেটি কিনা চালিত হয়ে থাকে অপিওয়েডস এর মাধ্যমে।
কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যার গবেষক ড্যানিয়েল লেভিটিন বলেন, “গান শোনার মাধ্যমে মানুষ এই দুইটি ধাপের প্রথমটিতে না গিয়ে সরাসরি দ্বিতীয়টি গ্রহণ করে। অর্থাৎ, গানের মাধ্যমে মনের যে পরিতৃপ্তি পাওয়া যায়, তা তারা অপিওয়েডের মাধ্যমে সরাসরি গ্রহণ করে।”
পূর্বের যে গবেষণাগুলো করা হয়েছিল, তাতে দেখা যায় যে অপিওয়েডস কেবলমাত্র খাদ্য গ্রহণ, যৌনানুভুতি কিংবা মাদকদ্রব্য সেবন- এই ধরণের কর্মকান্ডে লিপ্ত হলে এই ধাপটি সচল হয়। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, গান শোনার মাধ্যমেও অপিওয়েডস মানুষের ইন্দ্রিয়কে ঠিক একই ধরণের প্রশান্তি দিতে পারে।
সূত্রঃ live science