মেলুজিন

এসব প্রাণীদের সম্পর্কে বিশ্বাস করবার কোন কারণ নেই। তারা কোনকালে ছিলও না, আসবেও না। কিন্তু তাও এদের গল্প শুনতে ভালো লাগে। কারণ, আমরা গল্প ভালোবাসি। অস্তিত্ব থাকুক কিংবা নাই থাকুক, এদের সম্পর্কে জানলে নিজেদের কাছেই প্রশ্ন করি। সত্যিই? এরা আসলেও ছিল?
এদের নিয়েই সিরিজ আকারে আপনাদের জন্য আয়োজন। আজকে লেখা হল ইউরোপের পৌরাণিক প্রাণী মেলুজিনকে নিয়েঃ

মেলুজিনঃ 

ইউরোপের রুপকথা অনুসারে মেলুজিন হচ্ছে মৎস্য জাতীয় প্রাণী যার দেহের উপরেরভাগ হচ্ছে নারী শরীর ও নিচের ভাগ হচ্ছে কোন মাছ কিংবা সরীসৃপের মত। সাধারণত আমরা মৎস্যকন্যাদের যে সকল গল্প শুনে থাকি, তাদের থেকে মেলুজিন কিছুটা আলাদা। তার শরীরের প্রান্তভাগে দুটি লেজ রয়েছে। পরিষ্কার পানিতে এদের পাওয়া যায়।

মেলুজিনকে নিয়ে যে গল্পটি ছিল তা হচ্ছে, কাউন্ট পয়তুর ছেলে রেমন্ড একদিন শিকারে গিয়ে একটি মেলুজিনের দেখা পান। তারা দ্রুত একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেন। রেমন্ড মেলুজিনকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। মেলুজিন বিবাহে রাজী হয় কিন্তু রেমন্ডকে একটি শর্ত পালন করতে হবে। তা হচ্ছে, বিয়ের পর প্রতি শনিবার রাতে রেমন্ডকে একা একা কাটাতে হবে। মেলুজিনের ঘরে প্রবেশ করা যাবে না।

মেলুজিন শিল্পীর তুলিতে
                    মেলুজিন শিল্পীর তুলিতে

রেমন্ড মেলুজিনের এই শর্তে রাজী হয় এবং দুজনে একসাথে ঘর করতে থাকে। মেলুজিনের গর্ভে রেমন্ডের সন্তান আসে একসময়। পরিবারে যেন খুশির কোন অন্ত নেই। কিন্তু রেমন্ডের মনে আস্তে আস্তে একটু সন্দেহ দানা পাকিয়ে উঠতে থাকে।
এমন কি আছে যে মেলুজিন শনিবার তাকে ঘরে আসতে নিষেধ করে? একদিন রেমন্ড মেলুজিনের ঘরে উঁকি দিয়ে দেখল মেলুজিনের শরীরের আসল অবস্থা। মেলুজিন আদতে সম্পূর্ণ একজন মানুষই নয়। রেমন্ডকে দেখবার সাথে সাথে মেলুজিন জানালা গলে কাছের নদীতে ঝাঁপ দেয়।
এরপর মেলুজিনকে আর কখনো দেখা যায় নি।

সূত্রঃ Toptenz.net

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here