এই তো কয়েকদিন আগেই মহা সমারোহে পালিত হল ঈদ উল আযহা। ঈদের রেশ কাটতে না কাটতেই আমরা সবাই আবার নাগরিক ব্যস্ত জীবনে ফিরে এসেছি। তবে হাঁ, এ কথা ঠিক যে যারা যারা গরুর হাটে গিয়েছিলাম তারা সকলেই নানা রকম গরু দেখেছি। আজ অবশ্য এসব গরুদের নিয়ে নয়, বরং ভিন্ন কিছু কথা বলা যাক।
গরু মোটাতাজাকরণ কিংবা অধিক দুধ মাংস কিভাবে পাওয়া যেতে পারে তা নিয়ে অধিকাংশ খামারী চিন্তিত থাকেন। এসব গরুকে খাওয়ানো হয় নানা ধরণের বড়ি কিংবা উন্নত জাতের খাবার। বিজ্ঞানীরা বলেন যেসব গরুকে উন্নত খাবার দেয়া হয়, থাকার জন্য অধিক জায়গা দেয়া হয়- তাদের থেকে অধিক মাংস কিংবা দুধ পাওয়া যেতে পারে। এমন কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যাতে ধারণা করা হয় যে গবাদি পশুকে ভালো খাবার এবং অন্যান্য বালাই থেকে দূরে রাখলে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া অনেকাংশেই সম্ভব। তবে খামারীরা এ ধরণের কোন এনজাইমের সাথে পরিচিত হতে পারেন নি যার ফলে তারা অধিক লাভবান হতে পারেন।
উইস্কনসিন ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু গবেষক সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্রে দেখিয়েছেন যে গবাদি পশুর মাঝে যদি সেরিটোনিন ইঞ্জেক্ট করা হয় তবে কি ধরণের ফলাফল আসতে পারে। সেরিটোনিন হচ্ছে এক ধরণের নিউরো ট্রান্সমিটার, যার ফলে আপনিও আপনার মনের নানা ধরণের সুখানুভূতির সাথে পরিচিত হতে পারবেন। এর ফলে গবেষকেরা দেখতে চেয়েছিলেন যে সেরিটোনিন প্রবেশ করানোর ফলে আসলেই ইতিবাচক কোন ফলাফল পাওয়া যায় কিনা।
ফলাফলে তারা একটি বিস্ময়কর ফলাফল পেয়েছেন। সেরেটোনিনের ফলে গাভীর দুধে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতার মাঝে হাইপোক্যালসেমিয়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। এর ফলে প্রাপ্ত গাভীর দুধে পাওয়া যায় পরিমিত পরিমাণে খাদ্য পুষ্টি।
বিজ্ঞানীরা এটিই দেখতে চেয়েছিলেন। তাদের কাছে দুধের পরিমাণ মূখ্য নয়। স্বাস্থ্য রক্ষায় গবাদি পশুর মাঝে সেরেটোনিন ইনজেক্ট করলে ফলাফল কি দাঁড়ায় তা দেখতেই তারা আগ্রহী ছিলেন। সেক্ষেত্রে তাদের গবেষণায় তারা সফল বলেই ধারণা করছেন।
সূত্রঃ হাফিংটন পোস্ট
সেরেটোনিন ইনজেকশন কি বাংলাদেশে পাওয়া যায়?