আমাদের দেশে এটি তেমনভাবে গড়ে না উঠলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ট্যাটু শিল্প বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে উল্কি তৈরি একটি বিশেষ শিল্প হিসেবে তৈরি হয়েছে। মানুষ তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে উল্কি আঁকিয়ে আনন্দ পান। উল্কি আঁকার বেশ কিছু নেতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। তবে গবেষকরা বলছেন যারা ট্যাটু আর্টিস্ট অর্থাৎ, শরীরে উল্কি আঁকান,তারা ক্যান্সার রোধে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারেন।
যেমনটি বলা যায়, শরীরে উল্কি থাকলে ক্যান্সার নির্ণয় করতে কোন ধরণের সাহায্য করে না। অনেকসময় উল্কিকারকরা তাদের ক্লায়েন্টের শরীরে ক্ষত স্থানেই উল্কি তৈরি করে দেন। এটি ডাক্তারদের ক্যান্সার রোগ নির্ণয় করতে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি করে। কয়েকজন ট্যাটু আর্টিস্টের সাথে কথা বলে জানা যায় যে তারা তাদের ক্লায়েন্টের অনুরোধে শরীরের যে স্থানে ক্যান্সার কোষ রয়েছে, তার ওপর দিয়ে ট্যাটু তৈরি করে ফেলেন।
এই গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের সেরা কয়েকজন ট্যাটু আর্টিস্টদের সাথে কথা বলা হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে তারা জানান যে, তাদের কাছে কেউ ট্যাটু তৈরি করাতে এলে তারা ঐ নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চর্ম বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে বলেন। তবে সংখ্যাটা খুবই নগণ্য,মাত্র ২৯ শতাংশ।
গবেষকরা বলছেন যে যদি কোন ট্যাটু আর্টিস্ট তার কাছে ট্যাটু করাতে আসা কোন ব্যক্তিকে প্রথমে চর্ম বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে বলেন, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যাবার আগেই তা নির্ণয় ও সে অনুযায়ী নিরাময় করা সম্ভব হবে। মেলানিয়া হচ্ছে ক্যান্সারের সবচেয়ে মারাত্মক ধাপ। এই সময়ে একজন ব্যক্তি তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সারের কোষের অস্তিত্ব টের পান। তখন তিনি যদি তার শরীরে ট্যাটু প্রস্তুত না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন, তবে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।
সূত্রঃ livescience.com