সালটা ছিল ১৯৭১ সাল। পেনি প্যাটারসন নামক স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্নাতক ছাত্রী গেলেন সান ফ্রান্সিস্কো চিড়িয়াখানায়। সেখানে দেখা পেলেন একটি নবজাতক গরিলা শাবকের।
শাবকটির নাম ছিল কোকো।

পেনি ছোটবেলা থেকেই চেয়েছিল পশুপাখিকে মানুষের কথা বোঝাতে, তাদের সাথে যোগাযোগ করতে। পেনি কোকোকেই তার ছাত্র হিসেবে মেনে নিল এবং তাকে ইশারায় ভাষা শেখাতে শুরু করল। বৈজ্ঞানিক একটি গবেষণা রুপ নিল ভালোবাসার একটি বন্ধনে। ৪৪ বছর পর পেনি ও কোকোর মাঝে সম্পর্কটা গড়ে উঠেছে ঠিক মা মেয়ের মত। কোকো প্রায় ১০০ রকম ইশারায় কথা বলতে ও বুঝতে সক্ষম।
বিজ্ঞানীরা এই গবেষণাকে গরিলা ও মানুষের ইতিহাসে সবচাইতে সাফল্যমন্ডিত হিসেবে অভিহিত করেছেন।
প্রথম দিকে পেনি যখন গবেষণার জন্য সান ফ্রান্সিস্কো চিড়িয়াখানার কাছে কোকোকে পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করল, তখন তাকে অগ্রাহ্য করা হয়। পেনি দমে যায় নি। শেষ পর্যন্ত সে কোকোর জন্য লড়াই করেছে।
মানুষ ও প্রাণীর মাঝে এভাবেই সম্পর্কগুলো গড়ে উঠুক।
সূত্রঃ হাফিংটন পোস্ট