এরপর থেকে কেউ যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করে যে, সবচেয়ে বড় সমুদ্র বা মহাসাগর কোথায়, তাহলে উত্তরটা বৃহস্পতি গ্রহের দিকে ইঙ্গিত করতে পারেন।

যদিও পৃথিবীতে প্রায় ৩২০ মিলিয়ন কিউবিক মাইল পানি রয়েছে, সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তুলনায় প্র্যাকটিক্যালি আমাদের গ্রহ একটি মরুভূমি।

উদাহরণস্বরূপ বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপার কথা যদি ধরা হয়, যা আকারে আমাদের নিজস্ব চাঁদের প্রায় সমান, এখানের ভূগর্ভের সমুদ্রে বিজ্ঞানীদের অভিমত আমাদের পৃথিবীর পানির তুলনায় দ্বিগুণ তরল রয়েছে। এমনকি ইউরোপার প্রতিবেশী আরেকটি উপগ্রহ গেনিমিডে আমাদের পৃথিবীর পানির তুলনায় প্রায় ৩০ গুণ বেশি তরল ও বরফের সমুদ্র রয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গ্রহে তরল পদার্থ খোঁজার চেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছেন। কিছুদিন আগে বিজ্ঞানীরা তাদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, শনির গ্রহের ছোট্ট উপগ্রহ ডিওনে সম্ভবত মহাসাগর রয়েছে।

সুতরাং সৌরজগতের অন্যান্য মহাসাগর বিশ্বের সঙ্গে পৃথিবীর পানির তুলনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ পোর্টাল বিজনেস ইনসাইডার, নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গ্রহ বিজ্ঞানী স্টিভ ভ্যান্সের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি হিসাবনিকাশ করে একটি ধারণা দিয়েছেন।

স্টিভ ভ্যান্সের তথ্য ব্যবহার করে বিজনেস ইনসাইডার একটি গ্রাফিক্স তৈরি করেছে, যেখানে তুলনামূলক পানির (তরল এবং বরফ) ভলিউম প্রদর্শিত হয়েছে, প্রমাণিত এবং সম্ভাব্য ৯টি মহাসাগর বিশ্বের।

এসব মহাসাগর বিশ্বে কী পরিমাণ জল রয়েছে, তা সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ পর্যন্ত সাজানো হয়েছে এবং সেগুলো হচ্ছে- এনসেলাডাস (শনির একটি উপগ্রহ), ডিওন (শনির একটি উপগ্রহ), পৃথিবী, ইউরোপা (বৃহস্পতির একটি উপগ্রহ), প্লুটো, ট্রাইটন (নেপচুনের একটি উপগ্রহ), ক্যাল্লিস্টো (বৃহস্পতির একটি ‍উপগ্রহ), টাইটান (শনির একটি উপগ্রহ) এবং গেনিমিড (বৃহস্পতির একটি উপগ্রহ)।

এছাড়া শনির একটি উপগ্রহ মিমাস এবং সৌরজগতের গ্রহাণু বলয়ের বামনগ্রহ সেরেস-এ মহাসাগর থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। কিন্তু সেই মহাসাগরের আকার সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here