জ্ঞান বিজ্ঞানের শাখা প্রশাখায় আজকের ইউরোপীয়রা অনেক এগিয়ে গিয়েছে। আমাদের প্রাচ্যও এর চাইতে কম কিছু অবদান রাখে নি। তবে এটি স্বীকার করলে ভুল কিছু হবে না যে, আজকের ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার কিংবা আমাদের আধুনিক প্রযুক্তির যে উৎকর্ষতা সাধিত হচ্ছে তার বেশিরভাগের পেছনেই আরব বিজ্ঞানীদের নানা অবদান রয়েছে। আজ থেকে কয়েক পর্বের মাধ্যমে তাদের সে অবদানের কথা জানানো হবে আপনাদেরঃ
১) ইলেকট্রনিক টেপ মিউজিকঃ

ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেট
১৯৪৪ সালে হালিম এল দাভ নামক এক ছাত্র প্রাচীন “যার” নামক উৎসবের কিছু সুর রেকর্ড করার জন্য তারযুক্ত রেকর্ডারের ব্যবহার করেন। এরপর তিনি ইলেকট্রনিক টেপ মিউজিকের উদ্ভাবন করেন। স্টুডিওর ইতিহাসে তিনি অন্যতম একজন সুরকার হিসেবে বিখ্যাত।
২) ওয়েব ব্রাউজারে ভিডিও হোস্টিং সার্ভিসঃ
আপনার জানা আছে কি, ওয়েব ব্রাউজারের সাহায্যে ভিডিও হোস্টিং সার্ভিসের চিন্তা প্রথম যার মাথায় এসেছিল তিনি একজন বাংলাদেশী? তার নাম জাভেদ করিম, পেশায় একজন প্রকৌশলী। এছাড়াও তিনি ইউটিউবের একজন কো-ফাউন্ডার।
৩) আকাশছোঁয়া অট্টালিকা বা স্কাই স্ক্র্যাপার্সঃ

ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেট
স্থাপত্যবিদ্যার আইনস্টাইন কাকে বলা হয়ে থাকে জানেন? তিনিও একজন বাংলাদেশী, নাম ফজলুর রহমান খান। তিনি বিখ্যাত সিয়ার্স টাওয়ার এবং জন হ্যাংকক সেন্টারের নকশা করেন। কিন্তু সর্বপ্রথম স্কাই স্ক্র্যাপার্সের সূচনা হয় ১৬ শতকে, ইয়েমেনের সিভাম নামক শহরে।
৪) পে চেকঃ
আমরা যারা অফিসে কিংবা কোন কর্মস্থলে কাজ করে থাকি, মাস শেষে বেতন কিংবা পারিশ্রমিক পেলে খুশি হয়ে উঠি। এটাকে বলে পে-চেক। আপনার জানা আছে কি, আরবী “সাক্ক” নামক শব্দটি থেকে চেক শব্দটির উদ্ভব হয়েছে? এর মানে হচ্ছে, আপনি যে কাজটি করলেন তার পারিশ্রমিক লিখিতভাবে বুঝিয়ে দেয়া। পরবর্তীতে এটি সারাবিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পে চেক নামে।
৫) গ্রাফিক প্রসেসিং ইউনিটঃ
হোসেইন ইয়াসায়ি সর্বপ্রথম থ্রি-ডি গ্রাফিক্সের জন্য প্রয়োজনীয় চিপ জিপিউ পাওয়ারভিআর এমবিএএক্স এর উদ্ভব করেন, যেটি বর্তমানে অ্যাপল ও স্যামসাং-এ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ২০১২ সালে প্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ইয়াসায়ি “নাইটহুড” খেতাব লাভ করেন।
সূত্রঃ ইয়ামটয়িকস ডট কম