চালু হয়েছে মোবাইল ফোনের নতুন কলরেট। ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে নতুন কল রেট। নতুন কল রেট অনুযায়ী, মোবাইল অপারেটরগুলো ৪৫ পয়সার নিচে কোনও কলরেট নির্ধারণ করতে পারবে না। এই কলরেট সর্বোচ্চ ২ টাকা পর্যন্ত হতে পারবে। এরইমধ্যে দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটরকে এই নির্দেশনা পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। অপারেটরগুলো এই নির্দেশনা কার্যকরের বিষয়টি ব্যবহারকারীদেরও জানিয়েছে।
৪৫ পয়সা হলো নতুন কলরেটের ফ্লোর প্রাইস (ইউনিফায়েড ফ্লোর প্রাইস)। অর্থাৎ এই রেটের কমে কোনও মোবাইল নম্বরে কল করা যাবে না। তবে মোবাইল ফোন অপারেটররা তাদের পছন্দমতো রেট সাজিয়ে নতুন কলরেট গ্রাহকদের অফার করতে পারবে। কলরেটের সর্বোচ্চ সীমা হবে ২ টাকা, যা আগেও ছিল। কোনও অপারেটর গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতি মিনিটের কলের জন্য ২ টাকার বেশি চার্জ করতে পারবে না।
বর্তমানে বিটিআরসির নির্ধারণ করে দেওয়া সর্বনিম্ন অননেট চার্জ প্রতি মিনিট ২৫ পয়সা ও অফনেট ৬৫ পয়সা। সর্বোচ্চ চার্জ প্রতি মিনিট ২ টাকা। মোবাইল ফোন অপারেটররা এই সীমার মধ্যে থেকে নিজেদের অপারেটরের চার্জ নির্ধারণ করেছে। ফলে একেক অপারেটরের চার্জ ছিল একেকরকম।
প্রসঙ্গত, দেশে দুই ধরনের কলরেট চালু আছে, অননেট ও অফনেট। অননেট হলো একই মোবাইল নেটওয়ার্কে কল করার (কথা বলার) পদ্ধতি এবং অফনেট কল হলো এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে ফোন করা। নতুন নিয়মে এই অননেট ও অফনেটের কলরেট পদ্ধতি আর থাকছে না।
নতুন কলরেট চালুর ফলে কলের খরচ কমলো না বাড়লো সেটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গ্রাহকরা অভিযোগ করেছন কলের খরচ বাড়লো। অন্যদিকে মোবাইলফোন অপারেটররা বলছে, খরচ আসলে কমলো। মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) চালু হলে গ্রাহকরা এখনের চেয়ে আরও কম খরচে মোবাইলে কথা বলতে পারবেন।
অপারেটরদের মতে, নতুন নিয়ম কার্যকর হলে গ্রাহকরা সুফল পাবে। জানা গেছে অননেট কলের সর্বনিম্ন সীমা ২৫ পয়সা হলেও গ্রাহকদের গড় খরচ হতো ৩৯-৪০ পয়সা। আর অন্য অপারেটরে (অফনেটে) কলের সর্বনিম্ন সীমা ৬৫ পয়সা হলেও গ্রাহকের খরচ হতো ৮৯ পয়সা থেকে ১ টাকা ৪০ পয়সার মতো। নতুন কলরেট চালুর ফলে একই অপারেটরে কলের খরচ ৫ পয়সা বাড়লেও অন্য অপারেটরে কলের ক্ষেত্রে খরচ কমবে ৪৫ থেকে ৫০ পয়সা। মূলত গ্রাহক সংখ্যায় ছোট অপারেটরের গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবেন বলে মনে করছে অপারেটররা।
নির্দিষ্ট নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের সুবিধা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) চালুর আগে সকল মোবাইল কলরেট একই হওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। সেটা হয়ে যাওয়ায় খুব শিগগিরই এমএনপি চালু হবে বলে জানা গেছে।