সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আজকের আয়োজনে। নিত্য–নতুন টেকনোলজী পন্যের আবির্ভাব আর সহজলভ্যতার কারনে আমাদের দৈনন্দিন জীবন হয়ে উঠেছে আরো সহজ সরল ও প্রানবন্ত। এতে যেমন আমাদের জীবন জাপনের মান বেড়েছে ঠিক তেমনি সময়ের সাশ্রয়ও ঘটেছে বিপুল হারে। এই যেমন ধরুন মোবাইল টেকনোলজী, কম্পিউটার টেকনোলজী, ইত্যাদি ইত্যাদি। আর এরই মাঝে আরো একটা নিত্য ব্যাহার্য ও প্রয়োজনীয় গেজেট হল ডিজিটাল ক্যামেরা, আর এরই মাধ্যামে সকলেই কোন না কোন ভাবে উপকৃত হচ্ছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তো আজকের লেখের টপিকটা হল ইমেজ রিসাইজ। আর যখন ফটো এডিটিং টাইপের কথা আসে তখনই আমার মত ফটোশপ পাগলদের মাথায় আসে এডবির ফটোশপ সফটয়ারটির নাম। এর মাধ্যমে শটীল ইমেজে করা যায় না এমন কোন কাজ নেই। আর ঠিক এই কারনেই এই সফটটির আমি এত ভক্ত। আমার মত সক্লেই চান যে ‘একের ভিতর সব‘ টাইপের প্লাটফর্ম, আর এই বাক্যটিরই ইমেজ এডিটিংএর ক্ষেত্রে বিকল্প নাম হল ফটোশপ। আশা করি এবেপারে সবাই একমত হবেন।
যাই হোক মূল টপিকে ফিরে আস যাক। তো আমাদের ডিজিটাল ক্যামেরায় বা মোবাইলে তোলা হাই রেজুলেশানের কাজে একসাথে হাজার হাজার ছবি রিসাইজ করার প্রয়োজন পড়তে পারে। এক্ষত্রে সিঙ্গেল ফাইলকে নিয়ে খুব দ্রুত কাজ করতে গেলেও প্রতি ইমেজে ৩০ সেকেন্ড করে লাগবে, তাহলে এবার হিসেব করতে বসে যান ১০,০০০ হাজার ছবি এডিত করতে কতক্ষন লাগবে……..৩০০০০০ সেকেন্ড /৬০সেকেন্ড= ৫০০০ হাজার মিনিট মানে প্রায় ৪ দিন একটানা :O :O কিন্তু ফটশপের একটা একশানের মাধ্যমে আপনি মাত্র কয়েক মিনিটে সেই কাজ গুলো করে ফেলতে পারবেন।
যা করতে হবেঃ
১. নির্বাচিত ছবিসমূহকে একটা আলাদা ফোল্ডারে নিন
২. এবার ফটোশপ ওপেন করুন
৩. কোনকিছু ওপেন না করে File মেনু থেকে Scripts এ যান
অথবা সর্টকাট চাপুন কি–বোর্ড থেকে Alt+F+R চাপুন
৪. ইমেজ প্রসেসর(Image Processor) এ ক্লিক করুন
৫. ক) সেখান থেকে ১ এর ঘরে Select the Image to process এ সিলেক্ট ফোল্ডার থেকে আপনার তৈরী করা ছবিগুলোর ফোল্ডার লোকেশানে গিয়ে ফোল্ডারটি দেখিয়ে দিন, আর হা মেইন কথা হল আপনি ছবি সাইজ ছোট করতে চাইলে W এর জায়গায় ওয়াইডথ মানে চউড়া যেমন ১০২৪, H এর জায়গায় হাইট মানে উচ্চতা দিন যেমন ৭৬৮। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার সিলেক্টেড ছবিগুলো তার চেয়ে বড় হতে হবে, না হয় ছবির কোয়ালিটি গোল্লায় যাবে।
খ) ২ নাম্বার ঘরে ডিফল্ট ঘরে আপনার আগের ছবিগুলোর লোকেশানেই আউটপুট মানে রি–সাইজড ছবিগুলো তৈরি হবে্ ফোল্ডার আকারে, তবে আপনি চাইলে লোকশান চেঞ্জ করে নিতে পারেন সিলেক্ট ফোল্ডার দিয়ে।
গ) ৩ নাম্বার ঘরে আপনি ছবিগুলো আউট পুট কি আকারে চান তার অপশান পাবেন, যেমন JPEG(JPG), PSD(ফটোশপের ডিফল্ট ফরমেট), TIFF(Tagged Image File Format যা কিনা ইমেজ এর প্রফেশানাল স্টযান্ডার্ড, এবং এই ফরমেটটি ম্যাক, উইন্ডোজ সহ ইউনিক্স প্লাটফরমে ও ব্যবহারযোগ্য) এই তিন ধরনের ফরমেট।
ঘ) তারপর RUN এ চাপ দিন, ব্যাস আপনার কাজ শেষ 😀 ।
৬. এবার আপনার ছবিগুলো ফটশপ আটোমেটিকালি কাজ করতে থাকবে, এবং কয়েক মুহুর্তে আপনার কাজ শেষ হয়ে যাবে। আপনি যখন দকেহবেন ফটোশপে কোন ছবি ওপেন বা ক্লজ হচ্ছেনা তখন বুঝবেন কাজ শেষ। কাজ চলার সময় কিন্তু ঠিক ওই ছবি ওপেন এন্ড ক্লোজ অটো চলতে থাকবে।
৭. ব্যাস হয়ে গেল গরম গরম ফটোসপিয় কায়দায় হাজার হাজার ছবি রান্না(সাইজ)।
আশা করি ভাল লেগেছে।
লাকি ভাই, খুব কাজের একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি ফটো এডিটিং এর এক্সপার্ট নই, তবে আমার মাঝে মাঝে ছবি ব্যাচ প্রসেস করা লাগে।
ফটোশপ যে অসাধারন একটা সফটওয়্যার, তাতে আমাদের কারো কোন সন্দেহ নেই। তবে সমস্য একটাই…… দামটা খুবি বেশি।
আমি আমার ছোট খাট কাজ গুল PhotoFilter সফটওয়্যার দিয়েই করে থাকি। আমার মতে ব্যাচ প্রসেসিং এর জন্য PhotoFilter এর থেকে ভাল আর কোন সফটওয়্যার নাই 😀
আসলেই ফটোশপ একটা চিজ 🙂
অনেক সুন্দর টিপস মেছবা ভাই 🙂
😀 ধন্যবাদ
ফটোশপ অ্যাকশন ব্যবহার করে রিসাইজিং ছাড়াও আরো অনেক কাজ (যেমন সিল-ছাপ্পড় মারা) এক সঙ্গে করা যায়। ওটা অ্যাডভান্সড ওয়ে।
আপনি ঠিক বলেছেন,
আসলে এই একশানকে কাজে লাগিয়ে আরো অনেক কাজ একসাথে করা যায়
আসলে আমি পোষ্টটা করেছি কারন কেউ একজন আমাকে এফবিতে ১৮,০০০ ছবি রিসাইজ করতে কি করা যায় এই রকম পরামর্শ চেয়েছিলেন
দারুন !! মনে মনে এমন কিছুই খুজছিলাম, আমি ফটোশপ ফ্রিক, কিন্তু এই ম্যাজিক টা জে ফটোশপেই লুকিয়ে আছে জানতাম ই না !! ধন্যবাদ আপনাকে, সিল ছাপ্পর ক্যামনে কি মারতে হয় এটা নিয়া একটা পোস্ট দিবেন দয়া করে 🙂
Ok stay tuned
আমার টা সিএস ৮। এখানে স্ক্রিপ্ট এ এই অপশনটা নাই। কি কবর?
আপগ্রেড করে নিতে পারেন
দারুন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
ভাই এভাবে রিসাইজ করলে এগুলো কি আনুপাতিকহারে সাইজ হবে?