প্রাচীনকালের লোকের লিখিত ভাষা ছিল চিত্রাংকনের মাধ্যমে। তথ্যপ্রযুক্তিতেও অনেক কথার অর্থ কয়েকটি কথার মাধ্যমে প্রকাশের জন্য লোগো বা আইকনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। এখানে বিভিন্ন সময়ে লগো ও তার ব্যবহারিক উন্নয়নের ধারা নিরস আলোচনায় প্রকাশ করার চেষ্টা করবো।
১৯৮১ সাল
জেরক্স ৮০১০ স্টারই প্রথম গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের কম্পিউটারের উদ্ভাবন করেন। এই কম্পিউটার বাইরের বিক্রি নাহলেও ক্যালকুলেটর,ফোল্ডার,মেইল ইত্যাদির আইকনের ধারনার প্রথম উদ্যোক্তা।
১৯৮৩ সাল
এপল লিসা’য় ড্রপ ডাউন মেনু সহ বেশ কিছু আইকন ভিত্তিক প্রোগ্রাম তালিকা প্রকাশ করে। এখানে ড্রপডাউন মেনুর সুবিধা সহ আরও ভাল মানের আইকন ব্যবহৃত হয়। মূলত এটা জেরক্সের ধারনাকে ভিত্তি করেই করা হয়।
১৯৮৪ সাল
এক বছর পরেই এপল ম্যাকিনটস কম্পিউটারে আর্টিস্টদের দিয়ে আইকন ডিজাইন করারানো হয় যা আরও উন্নত। এই কম্পিউটার এপলের প্রাথমিক ব্যবসায়ী সফলতা এনে দেয়।
১৯৮৫ সাল
এটা শুধু এপরেরই কাজ ছিল না। Atari TOS তাদের ছোট ও সাধারন সিস্টেমটির জন্য আইকন ডিজাইন করেন।
Amiga 1000 সর্ব প্রথম চার রঙের আইকন প্রকাশ করে।
প্রথম গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস সৃষ্টি করে উইনডোজ। যদিও এটিতে রঙিন আউকন ব্যবহার করা হয় নি তার পরেও বেশ কিছু নতুন আইকনের অবতারনা দেখা যায় এটিতে।
১৯৯১ সাল
প্রথম রঙিন অপারেটিং সিস্টেম আনে ম্যাকিনটোস সিস্টেম ৭.০ । আইকনগুলো ক্লিক করে খোলার ব্যবস্থাও চালু করা করা হয়।
১৯৯২ সাল
এক বছর পরেই উইনডোজের দুনিয়া কাপানো অপারেটিং সিস্টেমের সুচনা হয় উইনডোজ ৩.১ এর মাধ্যমে। এটিতে বেশ ভাল ডিজাইনের ও রঙিন আইকন ব্যবহার করা হয়।
১৯৯৫ সাল
মাক্রোসফটের বিখ্যাত স্টার্ট বাটন ও সেখানে প্রোগাম তালিকায় আইকনের ব্যবহার প্রথম আসে উইনডোজ ৯৫ অপারেটিং সিস্টেম এ।
২০০১ সাল
২০০১ সালে ম্যাক ওউ্ইনডোজের আইকনগুলো নিচের মতো উজ্জলতর হয়েছে।
২০০৭ সাল
ম্যাকের এই আইকন ধারনাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। আইকনগুলোতে ছায়ার ই-ফেক্ট্একটি থ্রিডি ধারণা সৃষ্টি করে।
২০০৯ সাল
উইনডোজ ৭ এর আইকনগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন। স্বচ্ছতা আর অপাসিটির মান পরিবর্তনের মাধ্যমে আরও সুন্দর করে তোলা যায়।
ভবিষ্যতে আইকনগুলোর চেহারা হয়তো আরো ভিন্নতা আসবে। হয়তো এনিমেশন বা থ্রিডি আইকন দেখা যাবে, আপনারা কি বলেন?