সৃজনশীল ব্যক্তি বা কাজকে কখনো আলাদা করে দেখতে পারি নি। প্রতিটি মানুষই সৃজনশীল। একই কাজ এক এক জন এক একভাবে করে থাকে- তাই না? কিন্তু এক এক জনের কাজ এক এক রকমের হয়। একটি ১০০০+ শব্দের ইরেজী গদ্য যদি ২০ জন ইংরেজী জানা লোককে দেওয়া হয় ও তাদের বলা হয় ২০০ শব্দের মধ্যে তার ভাবআর্থ বাঙলায় প্রকাশ করতে এবং তাদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন আর্টিকেল পাওয়া যাবে। যার লেখাটা বেশি সুন্দর? কার লেখায় সৃজনশীলতা আছে? একটু ভিন্ন আমেজ যা সবাইকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করবে তারটাই সৃজনশীল। সৃজনশীল ব্যক্তিমাত্রই এমন কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করে যা দুনিয়াতে নাই অথচ প্রয়োজন অথবা হতবাক করার মতো কোন আনন্দদায়ক সৃষ্টি। আমি বেশ কিছু মানুষের কাছে গিয়ে দেখেছি যে তারা সারাদিন কাজ করে যাচ্ছে, আলাপ ও আড্ডায় ব্যস্ত। প্রায় সবাই কাজ করা, টাকা আয় ও তা খরচ করার কাজে ব্যাস্ত। এর মধ্যে কয়েকজন ব্যস্ততার বাইরে গিয়ে নিজের চিন্তাগুলোর গভীরতায় প্রবেশ করে। কোন কঠিন বা জটিল সিদ্ধান্ত নিতে যেমন একাকিত্ব দরকার ঠিক তেমনি সৃজনশীলতার জন্যও একাকিত্ব প্রয়োজন।
সৃজনশীল কাজ করতে হলে একা থাকার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। একাকিত্বের প্রতি ভয় দূর করতে হবে। – রোলো মে
মহান ব্যক্তিদের একাকিত্ব থাকার চেষ্টাও তাদের কথা থেকে পাওয়া যায়। এবার ঘুরে আসি বেশ কিছু সৃজনশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে। সর্বকালের সেরা পদার্থবিধ আইনস্টাইন বলেন, আমার প্রতিদিনের কাজের রুটিন করা থাকে। কিন্তু আমি যখন সমুদ্র তীরে এ অনেকদূর পর্যন্ত হেটে যাই ও শুনতে থাকি আমার মাথার অপর প্রান্তে কি চিন্তা করছে। কাজের মাঝে যদি ভাল না লাগে তখন আমি কাজ ফেলে শুয়ে পড়ি ও মাথায় কি কি ভাবনাগুলো কাজ করছে তা বুঝতে চেষ্টা করি। বিখ্যাত লেখক লিও বাবাতুয়া একাকিত্বের মধ্যে বেশ কিছু সুবিধা জনক বিষয় দেখতে পেয়েছেন-
- ১. চিন্তা করার সময় পাওয়া যায়
- ২. একা তাকলে নিজেকে বুঝা যায়
- ৩. নিজের পশুত্বকে চেনা যায়
- ৪. সৃষ্টি করার সুযোগ হয়
- ৫. শান্তি খুজে পাওয়া যায়
- ৬. যা তৈরী করেছি বা যা করবো তার একটা প্রতিবিম্ব তৈরী করার সুযোগ হয়।
আমার নিজেরও বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছি। আমি যখন বড় কোন সিদ্ধান্ত নিতে যাই তখন অনেক বেশি ভাবনার মধ্যে পড়ে যাই এবং হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি না। একটি বেপারে পজিটিভ সিদ্ধান্ত নিয়ে, অনেক সময় একা কাটিয়ে, মাথার যুক্তিগুলো উপস্থাপন করলে সেই সিদ্ধান্তটি নেগেটিভও হয়ে যায়। কারো সাথে আলাপের প্রয়োজনও হয় না। যুক্তিগুলো এলোমেলো অবস্থায় থাকে অথচ সিদ্ধান্তের প্রয়োজন সাথে সাথে। একাকিত্ব যুক্তিগুলোকে সুসৃংঙ্খল করে তোলে।
মাহবুব ভাই, আমার ধারনা আপনি অসাধারন কিছু লিখেছেন। কিন্তু সত্যি বলতে কি আমার মাথার অনেক উপর দিয়ে চলে গেছে বিষয়টা ………হা হা হা ………
আমার মনে হয় আমাদের আডমিন এর নীতিমালা নামক পাতা টি আরাক বার দেখা উচিত। অথবা পাতা টি কে বাদ দেয়া উচিত।
আডমিন দয়া করে নীতিমালার প্রথম নীতিটা দেখে নেন……… নিচে লিঙ্ক টি দিয়ে দিলাম, আপনার সুবিধার জন্য
http://www.bigganprojukti.com/terms
একাকিত্ব ব্যপারটি আমাদেরকে মনকে একটি বিষয়ের দিকে নিবদ্ধ করতে সাহায্য করে। ফলে বিষয়টিকে গভীরভাবে অবলোকন এবং অনুধাবন করার সুযোগ সৃষ্টি হয়, নতুন কিছু সৃষ্টিও হয়ে যেতে পারে নিজের চেষ্টায় অথবা নিজের অজান্তেই আর এটিই হল আমার সৃজনশীল স্বত্তার বহিঃপ্রকাশ । ধন্যবাদ মাহবুব ভাই।
নিবন্ধে ব্যবহৃত ইমেজটি অপটিমাইজ করে ছোট করে দেয়ার জন্য এডমিনকে অনুরোধ করছি।
ইমেজটি ছোট করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
হুমমমম… বিয়াপক গিয়ানি পোস্ট…. সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন টিউটো ভাই 🙂 ধন্যবাদ আপনাকে… 🙂
একাকিত্ব ক্রেয়েটিভিটিতে সহায়ক,
এই জন্যই মনে হয় রাত জাগার ব্যাপারটা কিছুটা এসে যায়