বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যে তাদেরকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছে শুধুমাত্র কম্পিউটারেরর কম ধারনক্ষমতা ও কম প্রসেসিং ক্ষমতার কারনে। প্রায় ২.৩ বিলিয়ন ডলার ব্যায়ে ৩০০০ এর বেশি এন্টেনা সহকারে Square Kilometre Array (SKA) অত্যন্ত সংবেদনশীল টেলিস্কোপ স্থাপন করেছে যার মাধ্যমে মহাবিশ্বের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করা হবে। মহা শূণ্য গবেষণা কাজে অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে এই তিন হাজার এন্টেনা কাজ করবে নিয়মিতভাবে। এরা একসাথে নয় মিলিয়ন সিগন্যাল প্রেরণ করতে পারে এবং প্রতি মিনিটে ১৬০ গিগাবাইট এমপি৩ হিসেবে তথ্য জমা রাখবে। এই হিসেবে প্রতি দিন অনেক গুরুত্ব পূর্ণ তথ্যকেই রিসার্চ করার প্রয়োজন হয় যা কম্পিউটারগুলোর ধারণক্ষমতা ও কার্যক্ষমতার বাইরে।
সিডনী বিশ্ববিদ্যালয়ের Bryan Gaensler জানান, সারা বছরের আগত তথ্যসমুহ সংরক্ষণ করা গেলে গবেষণাকাজে ভাল হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ের কম্পিউটারগোলোর দ্বারা এটা সম্ভব না। তিনি বলেন যে,
“তথ্য এত দ্রুত গতিতে আসতে থাকে যে, তথ্যটি কি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন কিনা তা মানুষের পক্ষে ধারণা করা সম্ভব না। আর কম্পিউটার প্রোগ্রামও এত দ্রুত কাজ করে না যে সব তথ্যকে সঠিকভাবে যাচাই করে সংরক্ষণ করবে। প্রকৃত পক্ষে এখন এমন কম্পিউটার প্রোগ্রাম প্রয়োজন যা মানুষের মতো সঠিক সিদ্ধান্ত কম্পিউটারের মতো দ্রুতগতিতে করতে পারবে। ”
১৯৬৫ সালে ইন্টেলের কো-ফাউন্ডার একটি ভবিষ্যতবানী করেন যে, প্রতি আঠারো মাসে কম্পিউটারের গতি দ্বিগুন হবে। আর তার এই কথাই পরবর্তিতে সত্য হতে দেখা যায়। জ্যোতি বিজ্ঞানীগণ আশা করছেন আরো উন্নত মানের দ্রুত গতি সম্পন্ন ও অনেক ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারের জন্ম হলে তাদের মহাকাশ গবেষণার গতিও বৃদ্ধি পাবে।
খুবই চিন্তার বিষয়। এভাবে যদি তথ্য গুলো জায়গা না থাকার করনে ফেলে দেওয়া হয় তাহলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। কারন অনেক ছোট ছোট তথ্য থেকেই অনেক বড় কিছুর সূচনা হয়। আশা করি আরো উন্নত মানের দ্রুত গতি সম্পন্ন ও অনেক ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারের জন্ম দিতে পারবে মানুষ অদূর ভবিষ্যত এ। তথ্য গুলো শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ।
প্রতি মিনিটে ১৬০ গিগা!!!
আর বিজ্ঞানীদের কাছেও জায়গা নেই!! আমার ৫০০ গিগা হার্ডডিস্কের ৭০ গিগা খালি আছে… কোন বিজ্ঞানীর দরকার হলে নিতে পারে… 😛
চিন্তার বিষয়…………..
কঠিন ব্যাপার।