২০০৪ সালে ফেসবুক আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত এক বিপ্লবই এসেছে বলা যায়। এখন মানুষ খুব সহজেই একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এই যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সাহায্যে। তবে এ কথাটি সবাই স্বীকার করে নেবেন যে অনলাইন মেসেজিং এর জন্য বা যোগাযোগের জন্য হোয়াটস অ্যাপের জুড়ি মেলা খুবই দুষ্কর। ২০১৪ সালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যখন এটিকে পুনরায় ফিরিয়ে নেয়, তখন তাদের প্রায় ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার গুণতে হয়েছিল!
আজ আপনাদের এই হোয়াটস অ্যাপের কিছু অজানা তথ্য সম্পর্কে জানানো হলঃ
১. মাত্র ৫ জন লোক নিয়েই ১ বিলিয়ন ডাউনলোডঃ
গত বছরের মার্চে হোয়াটস অ্যাপ সেবাটি প্রায় ১ বিলিয়ন মানুষ ডাউনলোড করেছেন। আর এ বছর আগস্টের দিকে একটি জরিপে দেখা যায় এই সংখ্যাটি প্রায় ২ বিলিয়নের কাছাকাছি চলে গিয়েছে। হোয়াটস অ্যাপের কো ফাউন্ডার জ্যান কোউম তার একটি বিবৃতিতে জানান যে এন্ড্রয়েড ভার্সনের জন্য তার প্রতিষ্ঠানে যে দলটি কাজ করছে, তাদের সংখ্যা মাত্র ৫ জন।
২. প্রতিষ্ঠানের কো-ফাউন্ডার ফেসবুক ও টুইটার থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেনঃ
জ্যান কোউম ও ব্রায়ান একটন, দুজনেই প্রথমে একসাথে তাদের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ইয়াহুতে। হোয়াটস অ্যাপে পূর্ণোদ্যমে কাজ করবার শুরুতে তাদের ফেসবুক ও টুইটারে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। চিন্তা করে দেখুন, তাদের একজনেরও যদি সেদিন সাক্ষাৎকার হত, তাহলে আজকের পৃথিবী কি হোয়াটস অ্যাপের মুখ দেখতে পেত?
৩. হোয়াটস অ্যাপ তার ব্যবহারকারীর কোন তথ্য সংগ্রহ করে নাঃ
যে কারণ হোয়াটস অ্যাপ ওয়েব আপনার ফোন ও এর নম্বরটি চায়, তা হচ্ছে ফেসবুক, মেসেঞ্জার কিংবা স্কাইপি এর মত এটি আপনার কোন মেসেজ সংরক্ষণ করে থাকে না। আপনার যেসব মেসেজ পাঠানো হয় নি কিংবা আনডেলিভারড অবস্থায় রয়েছে, সেসব মেসেজ প্রাপক পাবার পরপরই সার্ভার শূন্য হয়ে যায়। গুগল ড্রাইভ কিংবা আই ক্লাউডের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যাক আপ সংরক্ষণ করতে পারেন।
৪. টেক্সট সুবিধা- বোল্ড, ইটালিক এবং স্ট্রাইক থ্রুঃ
মার্চ থেকেই হোয়াটস অ্যাপের এন্ড্রয়েড ভার্সন এবং আই ও এস খুবই সাধারণ ভাবে তাদের টেক্সট সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে। আপনি আপনার মেসেজ ইটালিক বোল্ড হরফে, আন্ডারস্কোর দিয়ে ইটালিক ফন্টে কিংবা ঢেউ খেলানো স্ট্রাইক থ্রু ফরম্যাটে পাঠাতে পারবেন। আপনি চাইলে এই তিনটি সুবিধার মিশেলেও আপনার মেসেজটি সহজেই প্রেরণ করতে পারবেন।
সূত্রঃ টাইমস অফ ইন্ডিয়া