লায়ন ফিশ একটি ছোট আকৃতির বিশাক্ত শিকারী মাছ। প্রাকৃতিকভাবে এর কোন শত্রু না থাকায়, ব্যপকহারে বংশবিস্তার করে চলেছে এটি যা ইকোসিস্টেম এর জন্য ক্ষতিকর। তার তাই একদল গবেষক হাঙ্গরকে লায়নফিশ শিকার করা শেখানোর চেস্টা করে যাচ্ছেন এবং অনেকটাই সফল হয়েছেন। হন্ডুরাস এর একটি ম্যারিন পার্ক এ হাঙ্গরদের উপর এই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে বেশ কয়েক মাস ধরে।
খাদ্য, নাকি বন্ধু?
তবে শুধু হাঙ্গরই নয়, অন্যান্য শিকারী প্রানীগুলোকেও লায়ন ফিশ শিকার করা শেখানোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে হাঙ্গরগুলোকে কিছুটা আহত লায়ন ফিশ শিকার করার জন্য দেয়া হয়। এ প্রক্রিয়া সফল হওয়ার পর হাঙ্গরগুলো অন্যান্য লায়নফিশ শিকার করার চেস্টা করা শুরু করে। বলাই বাহুল্য, বিশাক্ত লায়নফিশ হাঙ্গরের জন্য ক্ষতিকর নয়। যদিও মানুষ এর সংস্পর্শে এলে বিশের কারনে বেশ ব্যাথা অনুভব স্নায়বিক সমস্যায় ভুগতে পারে।
এই প্রজেক্টের সাথে সংশ্লিস্ট ব্যক্তিরা এটির সফলতার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যদিও এখন পর্যন্ত মানুষের সহায়তায় হাঙ্গরগুলোকে দিয়ে লায়ন ফিশ শিকার করানো হচ্ছে। তবে তারা আশা করছেন হাঙ্গরগুলো লায়ন ফিশ এর স্বাদ পেলে আস্তে আস্তে নিজেরাই শিকারে আগ্রহী হবে।
হাঙ্গরগুলোর কোন আসুবিধা হবে না………আহত চাড়া ভলো লায়ন ফিশ শিকার করতে পারবে কি…….
সৃষ্টিজগতের কি মারাত্নক নিয়ম। একশ্রেণীর প্রাণীদের টিকে থাকার জন্য অন্যদের হত্যা করতে হয়। তাহলে কি পৃথিবীতে শুধুমাত্র শক্তিধররাই টিকে থাকবে?
ব্যপারটা আসলে এমন নয়। মহান সৃস্টিকর্তা সবকিছু খুব সুন্দর নিয়মের মাঝে বেঁধে দিয়েছেন। যেমন বড় বিড়াল প্রানীগুলো (বাঘ, শিংহ) তৃনভোজী প্রানী শিকার করে, কারন এগুলো সংখ্যায় বৃদ্ধি পায় খুব তাড়াতাড়ি। একটি বন্য মহিষের পালে দেখা যায় এক হাজারের বেশি মহিশ, আর এদের বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনের জন্য হয়তো ১৫-২০টি শিকারী প্রানী থাকবে।
দক্ষিন-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে লায়ন ফিশ এর সংখ্যা বেড়ে গেছে অনেক কারন এদের কোন প্রাকৃতিক শত্রু নেই। আর তাই হাঙ্গরদের দিয়ে এদের স্বাদ নেয়ানো হচ্ছে, যাতে কিছুটা কিছুটা হলেও ইকোসিস্টেম নিয়ন্ত্রনে ভূমিকা রাখতে পারে।
এভাবে ঠিক কতটুকু কি করা সম্ভব কে জানে? আরো কতো উদ্ভট প্রকল্পের কথাই যে শুনি মাঝে মাঝে।
ধন্যবাদ ইমতিয়াজ ভাই, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।