মিশরীয় মমি কিংবা পিরামিড আমাদের কাছে এখনো একটি রহস্য হয়েই আছে। কারণ, কেমন করে এই সুউচ্চ পিরামিড তৈরি করা হল কিংবা তাতে মমি সংরক্ষণ করে রাখা হল, এটি নিয়ে অনেক প্রশ্নের জমা হলেও বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো দিতে পারেন নি। তবে প্রশ্নবাণ কিন্তু অব্যাহত রয়েছে।
প্রত্নতাত্ত্বিকের একটি দল সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছে যে তুতেনখামেনের কবরে কোন গোপন চেম্বার থাকতে পারে যেখানে রাণী নেফারতিতির কবরও থাকতে পারে। কিন্তু নানাভাবে স্ক্যান করার পরও বিজ্ঞানীরা এমন একটি চেম্বার খুঁজতে ব্যর্থ হন।

তবে পদার্থবিদরা এখনো হাল ছেড়ে দিতে চান না। তারা আরেকটি গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার বা জিপিআর এর মাধ্যমে একটি শেষ চেষ্টা করে দেখতে চাচ্ছেন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অতি উচ্চমাত্রার কম্পনের সাহায্যে অনাবিষ্কৃত যদি কিছু থেকে থাকে তা খুঁজতে সমর্থ হবেন। কিন্তু এখানে প্রশ্ন আছে। বিজ্ঞানীরা এই জিপিআর পদ্ধতি তৃতীয়বারের মত ব্যবহার করছেন। আগের দুইবার কোন ফলাফল মেলেনি তাই এবার যে তারা কোন ফলপ্রসূ কিছু পেয়ে যাবেন সেটি নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক, যিনি এই গবেষণাটি পরিচালনা করছেন, ফ্রান্সিস্কো পরচেলি বলেন,”এর বেশি কিছু এখনো আমরা জানাতে পারছি না কারণ, মিশরীয় সরকার আপাতত এই গবেষণার যাবতীয় ফলাফল গোপন রাখতে চান।
অ্যামার্না রয়্যাল টম্ব প্রকল্পের পরিচালক নিকোলাস রিভিস ২০১৫ সালে প্রথম এই প্রস্তাব রাখেন যে রাজা তুতের কবরটি একবার ভালো করে পরীক্ষা করা হোক। কারণ তিনি আশংকা করছেন যে হয়তো এই কবরে রানী নেফারতিতি সম্পর্কে মূল্যবান কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে। রাদার বিষয়ক প্রযুক্তিবিদ হিরোকাতসু ওয়াতানাবে জিপিআর প্রযুক্তি ব্যবহার করবার মাধ্যমে নিকোলাসের এই আশংকাটি সত্য কিনা তা পরীক্ষা করেন। পুনরায় ২০১৬ সালের মার্চের দিকে আরো একটি স্ক্যানিং পরীক্ষা চালানো হয়।
দেখা যাক, বিজ্ঞানীরা এবার নতুন কিছু পান কি না।
সূত্রঃলাইভ সাইন্স