দেশের প্রায় ১৩০ মেধাবী ফ্রিল্যান্সারকে পুরস্কৃত করল ডেনমার্ক ভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্ট। সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে কোডারট্রাস্টের নিজস্ব ক্যাম্পাসে এই ফ্রিল্যান্সারদের হাতে সনদ ও পুরস্কার তুলে দিয়েছে কোডারসট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোডারসট্রাস্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জন-কায়ো ফেবিগ, কান্ট্রি ডিরেক্টর এম.এ.জি ওসমানী, গ্লোবাল আর্নিং টিমের প্রধান এডওয়ার্ড ইসিডারলুড ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স (পরিচালক) সুমন আহমেদ প্রমুখ।
কোডারসট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখানকার ১৩০ জন মেধাবী শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ শেষ করে আয় করা শুরু করেছে। এদের মধ্যে আনিক হোসেন ও রাতুল রায়হান এক সপ্তাহে দুই হাজার ১৭৫ মার্কিন ডলার ও দুই হাজার ৯৪০ মার্কিন ডলার আয় করে শীর্ষে রয়েছে। এরপর রয়েছে ৮১০ ডলার আয় করা শাহিদা আরবী। ২৪ জন পেয়েছেন স্মার্টফোন আর অন্যান্যদের বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।কোডার্সস্ট্রাস্টে প্রতি ব্যাচে ২৫ জন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বর্তমানে ২০০০ এর অধিক শিক্ষার্থী প্রশিক্ষন নিচ্ছে এবং এর মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে আয় করা শুরু করেছে। এই পর্যন্ত কোডার্সস্ট্রাস্টে প্রায় ১৯০০০ ছাত্র-ছাত্রী রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে। উল্লেখ্য, কোডারসট্রাস্ট ঢাকা সেন্টারসহ দেশব্যাপি ১৫টি লার্ন অ্যান্ড আর্ন সেন্টারে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
কোডারসট্রাস্টের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী আনিক হোসেন বলেন, কোডারসট্রাস্ট থেকে কোর্স করে ১০ হাজার ডলারের বেশি আয় করেছি। আমার জন্য দারুন এক অর্জন। কোডারসট্রাস্টের মেন্টরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।কোডারস্ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আনিকের মতো এখানকার আরেক শিক্ষার্থী আকলিমা। সে কড়াইল বস্তিতে থাকত। কম্পিউটার ও ইংরেজির বিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই কোডারসট্রাস্টের কোর্স সম্পন্ন করে পুরোপুরি স্বাবলম্বী হয়েছে সে।
উল্লেখ্য, ডেনমার্ক-ভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্ট দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে দেশজুড়ে কোডারসট্রাস্টের ১৫টি লার্ন অ্যান্ড আর্ন সেন্টারে ভর্তি চলছে। কোডারসট্রাস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার লিংক (www.bd.coderstrust.com)।