খাবারে এলার্জি আমাদের কমবেশি সবারই রয়েছে। কেউ কেউ বেগুন খেতে পারেন না, আবার কারো কারো ইলিশ মাছে বেশ সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য যাদের এসব খাবারে সমস্যা রয়েছে, তারা বেশ হিসাব করেই খাবারটি খেয়ে থাকেন।
কিছু কিছু পিতামাতা মনে করেন তাদের সন্তানের খাবারে এলার্জি রয়েছে বলে এটি তাদের মাঝেও সংক্রমিত হবে। বিজ্ঞানীদের নতুন একটি গবেষণায় এটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এই গবেষণায় এমন কিছু বাচ্চাদের নেয়া হয় যাদের মাঝে খাবারে এলার্জি রয়েছে এবং যাদের পিতামাতা মনে করেন এই এলার্জি তাদের মাঝেও সংক্রমিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায় যে, এই এলার্জি তাদের মাঝে নেই। এমনকি যেসব পিতামাতা তা মনে করতেন, তাদের মাঝে ৮০% এর পরীক্ষার ফলাফলই এসেছে নেতিবাচক। অর্থাৎ, তাদের এলার্জি নেই।
এই গবেষণার মাঝে একটি নতুন দিক উঠে এসেছে। আর তা হচ্ছে, যেসব ব্যক্তি দাবি করেন যে তাদের খাবারে এলার্জি রয়েছে, এই দাবিটি আদৌ সত্য কি না, তা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। এছাড়াও খাবারে এলার্জি সম্পর্কে তাদের জ্ঞান কতটুকু, তা নিয়েও তাদের মাঝে নানা প্রশ্নের উদয় হয়েছে।
ধারণাটি একট সাধারণ প্রশ্ন থেকে জন্মাতে পারে। মাঝে মাঝে কিছু চিকিৎসক বাবা মায়েদের প্রশ্ন করে থাকেন যে তাদের কোন ধরণের খাবারে এলার্জি আছে কি না। প্রশ্নটি মূলত করা হয়ে থাকে বাচ্চাদের সম্পর্কে জানার জন্য। কিন্তু ঘটনাটি ঘটে থাকে ঠিক তার উল্টো।
গবেষকরা বলেন, তরুণ বয়সে অনেকের মাঝেই কিছু খাবারে এলার্জি হয়ত থেকে থাকতে পারে। এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু সন্তানের বাবা মা হবার পর তাদের মাঝে ঐ বিশেষ খাবারের প্রতি এলার্জি নাও থাকতে পারে। কিন্তু কোন ধরণের পরীক্ষা করা ছাড়াই তারা ঐ খাবারের প্রতি এক ধরণের বিতৃষ্ণা নিয়ে থাকেন এবং তা আর ছুঁয়েও দেখেন না।
গবেষকেরা বলেন, এই ধরণের চিন্তাভাবনা থেকে নানা ধরণের মানসিক সমস্যাও তৈরি হতে পারে। তাই কোন ধরণের ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে না থেকে খাবারের প্রতি আসলেই কোন এলার্জি আছে কি না তা পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উত্তম।
এই গবেষণাটি নর্থওয়েস্টার্ণ ইউনিভার্সিটি ফেইনবার্গ স্কুল অফ মেডিসিন ও জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি ও দ্য চিলড্রেন্স হসপিটাল অফ শিকাগোর গবেষকেরা করেছেন।
সূত্রঃ লাইভ সাইন্স