বন্ধুরা, ফটোশপ ম্যানিয়ার ৩য় পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম, ভালো আছেন নিশ্চয়ই। গতপর্বে আমি আপনাদের সাথে কাস্টম ব্রাশ তৈরির পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম, এ পর্বে আমরা ফটোশপের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব,কাস্টম প্যাটার্ণ তৈরি। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক।
নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন।
নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন ছবিটির উপরে একটি নকশা আছে। ফটোশপে এ ধরনের বেশ কিছু বিল্ট ইন নকশা আছে। এদেরকে প্যাটার্ণ বলে। তবে, এগুলো প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই সীমিত। আপনি ইচ্ছা করলে নিজেই এ ধরনের নকশা বা প্যাটার্ণ তৈরি করতে পারেন। বন্ধুরা,এই পর্বে আমি এই ধরণের নকশা বা প্যাটার্ণ তৈরি করার উপায় নিয়েই আলোচনা করব।
৩০x৩০ পিক্সেলের একটি ডকুমেন্ট খুলুন। Z প্রেস করে জুম টুল সিলেক্ট করুন এবং এটা দিয়ে ডকুমেন্টের উপর ক্লিক করুন। ফলে ডকুমেন্টের ভেতরের স্পেসটি বড় আকার ধারণ করবে।
এখন ব্রাশ বা পেন্সিল (আমি ব্রাশ সিলেক্ট করেছি) সিলেক্ট করুন এবং নিচের মত টুলস অপশন্স বারের মান নির্ধারণ করুন।
ফরগ্রাউন্ড কালার হিসেবে কালো রঙ নির্বাচন করুন। এটা দিয়ে ডকুমেন্টে নিচের মত অঙ্কণ করুন।
এখন Edit->Define pattern কমান্ড দিন। একটি বক্স আসবে, তাতে যেকোনো নাম দিন যে নামে আপনি আপনার প্যাটার্ণটি সেভ করতে চান।
এইতো, হয়ে গেলো। এখন কিভাবে এটা ব্যবহার করবেন ?
প্রথমে যে ছবিতে নকশা বা প্যাটার্ণটি প্রয়োগ করতে চান তা File->Open কমান্ড দিয়ে খুলুন।
Edit->Fill কমান্ড দিন। একটি বক্স আসবে।
Use এর পাশে যে ড্রপ ডাউন বক্স আছে, তাতে প্যাটার্ণ সিলেক্ট করে দিন। Custom pattern পাশে যে থাম্বনেইল আকারের ছোট ছবি আছে তার পাশের এরো চিহ্নে ক্লিক করলে অনেকগুলো স্যাম্পল দেখতে পাবেন এগুলোই প্যাটার্ণ। এতে শেষের দিকে আপনার তৈরি করা প্যাটার্ণও আছে। বৃত্ত দ্বারা চিহ্নিত স্যাম্পলই আমাদের তৈরি প্যাটার্ণ।
Mode হিসেবে আপনার ইচ্ছামত Normal, Multiply বা Overlay সিলেক্ট করতে পারেন। Opacity হিসেবে কম মান নির্ধারণ করুন। এবার ok করুন। তাহলেই,আপনার ছবির উপর প্যাটার্ণ বসে গিয়ে নকশা তৈরি হবে। এভাবে বিভিন্ন রকম নকশা করে প্যাটার্ণ তৈরি করতে পারেন। নিচে কয়েকটি নকশা দেখানো হল
ভালো থাকবেন বন্ধুরা,কেমন লাগলো জানাবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
অনেক ভাল লাগলো
হেঃ হেঃ ভাই আছি চালিয়ে যান:lol:
মিঠু ভাই উপরের FLOW% এইটা দ্ধারা কিসের % বুজায় বলবেন কি।
সত্যিকার অর্থে flow দ্বারা আপনি ব্রাশ দিয়ে যে পেইন্ট করবেন অর্থাৎ রংটির ঘনত্ব অর্থাৎ কি পরিমানে রংটি ফ্লো করবে তা বুঝায়,আর opacity দিয়ে বুঝায় ঐ রংটি কত স্বচ্ছ হবে। মূলত,বুঝার সুবিধার জন্য আমি আর এটা নিয়ে deeply আলোচনা করিনি। তাছাড়া আপনি ইচ্ছা করলে flow কে অপরিবর্তিত রেখে opacity পরিবর্তনের মাধ্যমেই আপনার পছন্দমত করে রঙ করতে পারেন।
ভালো লেগেছে…. Like মারলাম… 🙂
🙂
টুল বারের সব টুল এর কাজ কিন্তু শেখান নাই।
হুম,এটা আমার মাথায় আছে। এক পোষ্টে ফটোশপের কয়টা টুলের পরিচিতি দেয়া সম্ভব!!!! আমার পোষ্টগুলো দেখতে থাকুন,উত্তর পেয়ে যাবেন।
may i download this topic with details?if yes,how do i do this?
এই কাজটা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। বিশেষ করে যারা পয়সার অভাবে শুধুমাত্র সাইবার ক্যাফে থেকে কিছু শিখতে চায়।
ফাটা ফাটি হয়সে ভাইজান।ভাল লাগল…।ধন্যবাদ
:-D:lol: